
বাবলু প্রামাণিক, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঃ অন্ধকার যত বাড়ে ভয় ততই বাড়তে থাকে । এভাবেই প্রাণ হাতে নিয়ে সেতু পারাপার করছে বামুনিয়া ও চন্ডিপুরের মানুষ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের জাউলগাছি অঞ্চলের বামুনিয়া ও চন্ডিপুর এলাকায় নদী পারাপারের কাঠের সেতুর এমনই বেহাল দশা। এতটাই ভয়ংকর যে প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলতে হচ্ছে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, স্কুলের ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীদেরও প্রতিদিন এই বিপজ্জনক সেতু পার হতে হচ্ছে।
কাঠের সেতুর মাঝখানে বড় বড় গর্ত, দুই পাশে নেই কোনো রেলিং, সন্ধ্যার পর অন্ধকারে পরিণত হয় পুরো সেতু। এর ফলে ছোট-বড় সবার জন্যই বিপদ ডেকে আনছে এই ভগ্ন কাঠের সেতু। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ- বহু বছর আগে নির্মিত এই কাঠের সেতুগুলি বছরের পর বছর খারাপ হয়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা সালাউদ্দিন সরদার জানান, “সেতু যখন তৈরি হয়েছিল তখন থেকেই এক বছর পর পর খারাপ হয়ে যায় তারপর আবারও মেরামত করা হয়। কিন্তু মেরামতের পরেও সেতু এক বছরের বেশি টেকে না। আমরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছি। অন্য একজন স্থানীয় বাসিন্দা মাজেদ আলী বৈদ্য বলেন, “প্রশাসনের লোকেরা বারবার ছবি তুলে নিয়ে গেছে, প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। কিন্তু কিছুই হয়নি”।
এই বিষয়ে জাউলগাছি অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রফিক আলী মোল্লা জানান, “দুটি সেতুর মেরামতের জন্য ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখ থেকে মেরামতের কাজ শুরু হবে”।
এই সেতুগুলি দিয়ে প্রতিদিন গ্রামের শত শত মানুষ পারাপার করে। বাচ্চারা স্কুলে যেতে বাধ্য হচ্ছে এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে। এলাকাবাসীর দাবি, বারবার মেরামত নয়, এখানে একটি স্থায়ী কংক্রিটের ব্রিজ তৈরি করতে হবে।
ভিডিও দেখুন-