
ওঙ্কার ডেস্ক: ফের নদীয়ায় গ্রেফতার ১৫ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী, বাংলার শাসক-বিরোধীর তরজা ও ভারত বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে এ রাজ্যে ঢুকে পড়ছে শত শত অনুপ্রবেশকারী। বিএসএফের কড়া নজরদারি এড়িয়েও বিভিন্ন সময়ে রাজ্যে ঢুকে পড়ছে জঙ্গিরা, তাদের সাহায্য করছে কিছু দালাল। মুর্শিদাবাদ এবং ক্যানিং এ জঙ্গি ধরা পড়ার পরে এই ব্যাপারে অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে রাজ্য পুলিশ। বুধবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে গ্রেফতার করে নদীয়ার হাঁসখালি থানা ও ধানতলা থানার পুলিশ। যাদের মধ্যে পাঁচ জন ভারতীয় আশ্রয়কারী, এছাড়াও নাবালিকা সহ আরও ১০ জন বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী।বৃহস্পতিবার ধৃতদের পেশ করা হয় নদীয়ার রানাঘাট বিচার বিভাগীয় আদালতে। গত দু মাসে প্রায় ২০০ র বেশী অনুপ্রবেশকারিকে গ্রেফতার করেছে নদীয়া জেলার বিভিন্ন থানার পুলিশ। ডিএসপি বর্ডার সোমনাথ ঝা জানান, অনুপ্রবেশকারীরা যতই চেষ্টা করুক না কেন গা ঢাকা দিয়ে থাকবে তার কোন উপায় নেই, কারণ সবসময় করা নজর রাখছে রানাঘাট পুলিশ জেলা, যার কারণে এখনো পর্যন্ত প্রায় ২০০ রো বেশি বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী কে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। এই নিয়ে জোর তরজা চলছে এখন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে। কিছুদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ জানান, বাংলার পুলিশ যতটা সম্ভব চেষ্টা করছে, কিন্তু বর্ডারের অনুপ্রবেশ আটকানোর কাজ বিএসএফ ও স্বরাষ্ট্র দপ্তরের এবং সেই কাজে তারা দিনের পর দিন অক্ষম হচ্ছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেছেন যে, বর্ডারে তার বসানোর যে জমির প্রয়োজন তা রাজ্য সরকারের কাছে বারবার চেয়েও লাভ হয়নি তাই বিস্তীর্ণ অঞ্চল কোনো ফেন্সিং ছাড়া পড়ে আছে। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজের আঁচলের তলায় লুকিয়ে রেখেছেন জঙ্গিদের, এবং খুব শীঘ্রই বাংলা কাশ্মীরে পরিণত হবে।