
ওঙ্কার ডেস্ক : হাসিনা আমলে বিতর্কিত বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’ ঘুরে দেখলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। অভিযোগ, আওয়ামি লীগের বিরোধিতা করলেই বিক্ষুব্ধদের বন্দী করে এই ‘আয়নাঘর’-এ রাখা হত। অভিযোগ, বিনা বিচারে তাদের রাখা হত দিনের পর দিন। এমন কি গুম করে দেওয়া হত বলেও অভিযোগ। ক্ষমতায় এসে এই সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহম্মদ ইউনূস। গড়া হয় নতুন তদন্ত কমিশন।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, বুধবার তদন্ত কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইউনূস আসেন ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনে। সঙ্গে ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ সংক্রান্ত উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। এই পরিদর্শনে ছিলেন সাংবাদিকরাও। প্রশাসনের আগ্রহে ‘আয়নাঘরে’র একাধিক ছবি প্রকাশিত হয় সংবাদ মাধ্যমে।
ইউনূসের এই হঠাৎ আয়নাঘর পরিদর্শনের পিছনে অন্য গন্ধ পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল। বিরোধীদের কেউ কেউ মনে করছেন, ইউনূস সরকারের ‘ডেভিল হান্ট’এ কি এই বন্দীশালাকে ব্যবহার করা হবে ? সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত হাজারেরও বেশি গ্রেফতার হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশে এই অভিযান শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ অনুসারে, ‘ডেভিল’ বলতে অপরাধীদের কথা বোঝাতে চেয়েছেন সে দেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসর, দুষ্কৃতিকারী, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হচ্ছে। এই বিশেষ অভিযানে পুলিশের সঙ্গে কাজে লাগানো হচ্ছে অন্যান্য সুরক্ষা বাহিনীগুলিকেও। ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানের তদারকি করছে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকই।