
সুমিত চৌধুরী : প্রবল গণবিক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত দেশ ছাড়লেন হাসিনা। সোমবার ১:৩৫ মিনিট নাগাদ পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করেন শেখ হাসিনা। তারপরই সামরিক বিমান করে দেশ ছাড়েন। প্রাথমিক গন্তব্য ছিল ত্রিপুরা হয়ে দিল্লি।
এদিকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে। সেনাপ্রধান সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং জনসাধারণের সহযোগিতা চেয়েছেন। সেনাপ্রধান যখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মিটিং করে, প্রত্যাশিতভাবে তাতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব ছিল না।
সোমবার ঢাকা মার্চ তথা গণভবন অভিযানের ডাক ছিল। লক্ষ লক্ষ ছাত্র যুব এবং জনতা এদিন সকাল থেকে ঢাকা শহরে ঢুকতে শুরু করে। ঢাকা অবরুদ্ধ হয়ে যায়।
মূলত সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে পরিস্থিতি সম্বন্ধে অবগত হবার পরই হাসিনা পদত্যাগ করবার সিদ্ধান্ত নেন। অসমর্থিত সূত্রের খবর, সেনাবাহিনীর থেকেও চাপ ছিল পদত্যাগ করবার জন্য।
হাসিনা পদত্যাগ করবার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়ার পরই রাস্তায় রাস্তায় পুলিশ ব্যারিকেড ছড়িয়ে দিতে শুরু করে। সামরিক বাহিনীকে ব্যারাকে ফিরে যেতে দেখা যায়।
নতুন করে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু হতে শুরু করে। তারপরই ঘোষণা আসে যে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করছেন। সামরিক কর্তা সাংবাদিক সম্মেলন করবেন।
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়াতে আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকরা জলে পড়েছেন। তারা এখন আন্দোলনকারী ছাত্র যুবদের হামলার মুখে। কোথাও কোথাও জামাত-শিবির আক্রমণ সংঘটিত করছে বলে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যে গণভবন জনতা দখলে। ঢাকা সমেত বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। জনতার ক্রোধের বিস্ফোরণ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা এখন কিভাবে সামলান, সেটাই দেখবার।