
ওঙ্কার ডেস্ক: ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়ে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসার জন্য দেশ ছেড়ে লন্ডনে পাড়ি দিয়েছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। সূত্রের খবর, হাসিনা ও খালেদার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির ময়দানে তৎপরতা বাড়াচ্ছে জামাত।
ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জামাতের আমির শফিকুর রহমান। খালেদা জিয়া দেশ ছাড়ার আগেই তড়িঘড়ি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামাতের আমিরের কী নিয়ে আলোচনা হল? মহম্মদ ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, বৈঠকে নির্বাচন, দুর্নীতি, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
অন্যদিকে, জামাতের আমির এবং প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, খালেদা জিয়া দেশ ছাড়তেই বিরোধী হিসেবে নিজেদের সামনের সারিতে তুলে আনতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে জামাত। আগামীদিনে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন হলে জামাত বিভিন্ন ইসলামি সংগঠনের সঙ্গে জোট বেঁধে ভোটে লড়তে পারে। সেই চেষ্টা চালাচ্ছে জামাত।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে অন্তত পাঁচটি ইসলামিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক সেরেছে জামাত। প্রসঙ্গত, জামাতের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তৎকালীন হাসিনা সরকার। ক্ষমতার পালাবদলের পর মহম্মদ ইউনুস জামাতের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। শুধু তাই নয়, জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকায় জেলে বন্দি ছিলেন এমন একাধিক ব্যক্তিকে জেল থেকে ছেড়ে দিয়েছে ইউনুস সরকার। যেমন, ছাড়া পেয়েছেন আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রধান জসীমউদ্দিন রহমানি। বিএনপি মনে করছে, অন্তর্বর্তী সরকারের উপর বিভিন্ন মৌলবাদী গোষ্ঠীর প্রভাব রয়েছে।