
ওঙ্কার ডেস্ক: চিকিৎসার জন্য বুধবার লন্ডনে পৌঁছেছেন বিএনপি-র চেয়ারপার্সন তথা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এদিন সকাল ৯টা ৫ মিনিটে হিথরো বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিএনপি নেত্রীর বিমান। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে আলিঙ্গন করেন পুত্র তারেক রহমান।
কতদিন চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে থাকতে হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। খালেদার বিদেশ যাত্রার ফলে বাংলাদেশের রাজনীতির ময়দানে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, যা নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বাড়তি সুবিধা দেবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। কারণ খালেদা জিয়ার দল বারবার মহম্মদ ইউনুস সরকারের উপর নির্বাচন করানো নিয়ে চাপ বাড়িয়েছে। তবে এই ফাঁকা ময়দানে নিজেদের জায়গা আরও পোক্ত করতে পারে জামাত। ইতিমধ্যে একাধিক বিষয়ে মহম্মদ ইউনুসের সরকারের উপর চাপ তৈরি করেছে জামাত নেতৃত্ব। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আওয়ামি লিগ ও বিএনপি নেতৃত্বের অনুপস্থিতিতে বিরোধী হিসেবে জামাত চালিয়ে খেলতে পারে।
খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশে বিএনপির কৌশল কী হবে তা এখনও জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, খালেদা জিয়া চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরতে পারেন ছেলে তারেক রহমানকে সঙ্গে নিয়ে। যিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তবে সেক্ষেত্রেও প্রশ্ন রয়েছে। কারণ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ঝুলে রয়েছে, যা হাসিনা সরকার দিয়েছিল। সেই মামলাগুলি ইউনুস সরকার যাতে প্রত্যাহার করে নেয় সেবিষয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে বিএনপি। মামলাগুলি প্রত্যাহার করা না হলে তারেকের দেশে ফেরা অনিশ্চিত। এখন দেখার মহম্মদ ইউনুস সরকার তারেকের বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলি প্রত্যাহার করে নেয় কি না।
প্রসঙ্গত ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনি-সহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে একাধিকবার বিদেশে চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করলেও তা আটকে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের ক্ষমতার পালাবদলের পর একাধিক মামলা থেকে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন সফরে গিয়েছিলেন খালেদা। সেটাই ছিল তাঁর শেষ বিদেশ সফর। পুত্র তারেক রহমানের সঙ্গেও এই ৭ বছরের মধ্যে মুখোমুখি দেখা হয়নি।