
ওঙ্কার ডেস্ক: ২০০৯ সালে ঢাকার পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষ্য নিতে চায় এই হত্যাকাণ্ডে তদন্তের জন্য গঠিত কমিশন। জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনা-সহ ১৫ জনের সাক্ষ্য নেবে কমিশন।
কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে আগামী সাত দিনের মধ্যে জাতীয় তদন্ত কমিশনের কার্যালয়ে হাজির হতে হবে সাক্ষীদের। একান্ত না উপস্থিত থাকতে পারলে অনলাইনেও সাক্ষ্য দেওয়া যাবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। তবে কেউ যদি না সাক্ষ্য দিতে আসেন, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সাক্ষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য যাদেরকে ডাকা হয়েছে। তাঁরা হলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, গোপালগঞ্জ-২ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ঢাকা-১৩ আসনের প্রাক্তন এমপি জাহাঙ্গীর কবির নানক, জামালপুর-৩ আসনের প্রাক্তন এমপি মির্জা আজম, ঢাকা-৮ আসনের প্রাক্তন এমপি আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম, ৪৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নের তৎকালীন অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ শামসুল আলম, ডিজিএফআইফের প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোল্লা ফজলে আকবর, প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ, প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, প্রাক্তন ডিজি র্যােব হাসান মাহমুদ খন্দকার, প্রাক্তন পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দ, প্রাক্তন পুলিশ মহাপরিদর্শক নুর মোহাম্মদ, প্রাক্তন অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে উল্লেখিত ব্যক্তিদের সাক্ষ্য দিতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
কী এই বিডিআর হত্যাকাণ্ড? ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা নাগাদ ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) দরবার হলে কিছু বিদ্রোহী সদস্য আচমকা হামলা চালায়। সেই হামলায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা-সহ নিহত হন ৭৪ জন। ২০১৩ সালে এই হত্যাকাণ্ড মামলার রায়ে বিডিআরের প্রাক্তন ডিএডি তৌহিদ-সহ ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারক। সেই সঙ্গে ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি ২৫৬ জনকে কারাবাসের সাজা শোনানো হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২৭৭ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।