
স্পোর্টস ডেস্ক : দিল্লির পর হরিয়ানার বিরুদ্ধেও গোলশূন্য ড্র। তিন ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট। বাংলার পারফরমেন্স ঘিরে সন্তোষে অসন্তোষ তুঙ্গে। শুক্রবারও জিতেন মুর্মুদের অগোছালো ফুটবল। প্রথম এগারোয় পরিকল্পনার অভাব স্পষ্ট।
তিন তিনটে ম্যাচ খেলে ফেলার পরেও অগোছালো রঞ্জন চৌধুরীর বাংলা। মুখ লুকানোর জায়গা খুঁজছে আইএফএ। বাইশ জনের দল গড়া থেকে ম্যাচে প্রথম একাদশ নামানো, সর্বত্র চূড়ান্ত ব্যর্থ কোচ রঞ্জন চৌধুরী! রঞ্জনের দল নির্বাচ যারা সিলমোহর দিয়েছিলেন, কাঠগড়ায় আজ তারাও! সঞ্জীব মন্ডল, সৌগত হাঁসদা, সৈকত সরকাররা কেন সুযোগ পাবেন না বাংলা দলে? কেন ডাক পাবেন না আবু সুফিয়ান, আরিয়ান কিংবা সুরজিৎ হাজরারা!
দিল্লি হরিয়ানার মতো দল আজ আটকে দিচ্ছে বাংলাকে! এরপরেও দুর্বল পাঞ্জাব ও লাদাখকে হারিয়ে পরের পর্বে হয়তো বা চলে যাবে ৩২ বারের চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু ৩৩ বার সন্তোষ ট্রফি ঘরে তুলতে রঞ্জন চৌধুরীর মাথার ওপর টেকনিক্যাল ডিরেক্টর বসানোটা জরুরি। ঠিক যেমনটা জরুরি বাংলার দল গঠন প্রক্রিয়াকে আতস কাঁচের নিচে নিয়ে আসার!
২২ জনের দল নির্বাচনে গলদ ঢাকতে এখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন রঞ্জন চৌধুরী। অনভ্যস্ত পজিশনে নামানো হচ্ছে ফুটবলারদের! বাইশ জনের দলে প্রকৃত মিডফিল্ডার মাত্র চার জন। কেয়ার অফ ভবানীপুর এফসি থেকে বেরিয়ে কোচ রঞ্জন এবার নিজেকে একটু বাংলা কোচ হিসেবে ভাবলে আদপে দলের ভালো!
ফিরে আসার সময়, সুযোগ এখনও রয়েছে! পাঞ্জাব ও লাদাখ দল হিসেবে বি গ্রুপে দুর্বলতম! সেই দুই দলের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিতে পারলে পরের পর্ব নিশ্চিত। কিন্তু তার আগে কোটা সিস্টেম মাথা থেকে সরিয়ে নড়েচড়ে বসতে হবে আইএফএ বাবুদের। বাংলা দল নির্বাচনে আরেকটু নিরপেক্ষতা তো আশা করাই যায়! সময় এসেছে কেয়ার অফ ভবানীপুর কোচকে সমঝে দেওয়ার, কড়কে দেওয়ার!