
বিপ্লব দাশ : সরষের মধ্যে যে অঢেল ভূত এটা মানল রাজ্য বিজেপি। আসলে এতদিন খাতায় কলমে বিজেপিকে যে ভাবে ফলাও করা হত, তা ধরা পড়ে গেল কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। অবশ্য এই গোঁজামিল্টি দেখিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এর মধ্যেও যথেষ্ট হিসেব আছে। যা রাজ্য বিজেপির অভ্যন্তরীণ খন্ডচিত্রকে খুঁচিয়ে তোলে। তবে গত নির্বাচনের অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখে খোলনলচে বাজিয়ে দেখতে চাইছে কেন্দ্রীয় বিজেপি। সশক্তিকরণ নামে খুব শিগগির এই কাজে হাত দিচ্ছেন তাঁরা। ফলে খাতায় কলমে বিজেপির চেহারার সঙ্গে বাস্তবে যে বিস্তর গরমিল পাওয়া গেছে ২৬শের ভোটের আগে তা চালুনিতে ফেলতে চাইছেন সুনীল-মঙ্গল।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৪ জুন থেকেই জোরকদমে কাজ শুরু হচ্ছে। জেলা স্তরের নেতাদের নিয়ে মন্ডল স্তরের কাজ পর্যবেক্ষণ করবেন ভারপ্রাপ্ত বিজেপি কর্মীরা। কমিটির সাংগাঠিক চেহারার সঙ্গে বাস্তবে কতটা মিল সে নিয়েও খতিয়ে দেখা হবে এই অভিযানে। ৭ জুন থেকে সপ্তাহ খানেক ধরে সমীক্ষা হবে শক্তিস্তরে। বিজেপির কর্মী সংখ্যার উপর জোর দিচ্ছে এই সমীক্ষা। তার উপর ভিত্তি করেই নেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ। মোট তিনটি স্তরে এই গোঁজামিল সামলানোর কথা ভাবছেন তাঁরা। এর প্রথম ধাপে জেলা, মণ্ডল ও শক্তিকেন্দ্রের আসল রূপ জেনে তা সরাসরি দিল্লিতে পাঠানোর কথা বলা আছে। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে দ্বিতীয় ধাপে। এই ধাপে দলকে আরও মজবুত করা হবে বলে দাবি করেছেন সুনীল-মঙ্গল।। সর্বশেষ ধাপে দূর্বল এলাকাগুলিতে শক্তি বাড়ানোর অনান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সাংগঠনিক দিক থেকে অত্যন্ত জরুরি একটি কাজ। নিঃসন্দেহে। কিন্তু সব সন্দেহ নিরসণের উর্দ্ধে তো একটাই, কে সামলাবেন এই পরিশোধিত দুর্গ, যেখান থেকে শাসক শক্তির বিরুদ্ধে কামান দাগবে বলে ভাবছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিন্ত রাজ্যে সেনাপতি কে ?