
নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পর রবিবার বঙ্গ সফরে আসছেন অমিত শাহ। বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতির নাম নিয়ে জল্পনার মাঝে অমিত শাহের এই বাংলা সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাহলে কি রবিবার বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতির নাম সামনে আসতে চলেছে। ঘোষণা করবেন অমিত শাহ ? ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, হয় তিনি এই সফরে কাজটা সেরে নেবেন, নাহয় খুব জোর ১৫ জুন পর্যন্ত সময় নেবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বিজেপি সূত্রে খবর, নতুন রাজ্য সভাপতির নাম ইতিমধ্যই চূড়ান্ত হয়ে গেছে। শুধু ঘোষণার অপেক্ষা। আরএসএস সূত্রে খবর, আরএসএস ও বিজেপির শিলমোহর দিয়েছে নতুন নামে। তাদের আরও দাবি, নতুন রাজ্য সভাপতির নির্বাচনের ক্ষেত্রে থাকছে বড় চমক। প্রসঙ্গত, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে যখন রাজ্যে সভাপতি হিসাবে নাম ঘোষণা হয় তখন তিনি ছিলেন রাজনৈতিক ময়দানে একদম আনকোরা। তিনি আরএসএস এর সক্রিয় কর্মী ছিলেন। শাহ-মোদিরা এবার ও সেই পথে হাঁটতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন রাজনৈতিক ময়দানে এসে দিলীপ ঘোষ কিন্তু সফল রাজ্য সভাপতি। তার নেতৃত্বে বঙ্গ বিজেপির ঝুলিতে এসেছে সব থেকে বেশী লোকসভার আসন। একুশের বিধানসভায়ও তৃণমূলকে কড়া টক্কর দিয়েছিল বিজেপি। এদিক থেকে দেখলে বিজেপির নির্বাচনী হিসেব নিকেষে দুটো সম্প্রদায় উঠে আসে। তার মধ্যে মতুয়াদের নিয়ে অঙ্ক সেরে নিয়েছে বিজেপি। বাকি থাকল জঙ্গলমহলের দিকে তাকিয়ে কুর্মি-সম্প্রদায়। এদিক থেকে বঙ্গ বিজেপির সর্বোচ্চ পদে যাঁর নাম উঠে আসছে তাঁকে নিয়ে দলের অন্দরে বিরোধ নেই। এবং তিনি বিজেপির সাংসদও।
তবুও ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাহ মোদিরা কি নতুন মুখ এনে চ্যালেঞ্জটা নেবেন ? নাকি সুকান্তে ফের ভরসা রাখবে গেরুয়া শিবির। তা সময় বলবে। প্রসঙ্গত, নতুন রাজ্য সভাপাতির দৌড়ে ছিলেন, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, জ্যেতির্ময় সিং মাহাতো, জগন্নাথ সরকার। মহিলা নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নাম নিয়েও জল্পনা চলছিল। তবে বঙ্গ বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, নতুন রাজ্য সভাপতির নাম এক প্রকার চূড়ান্ত হয়ে গেছে। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কথা হয়েছে। যদিও অনেকে বলছেন, রবিবার অমিত শাহ নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা না করলেও একটা ইঙ্গিত দিতে পারেন। এখন দেখার রবিবার তিনি নাম প্রকাশ করেন কিনা। অনেকে বলছেন, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় আর খুব একটা দূরে নয়। বছর ঘুরলেই নির্বাচন। নতুন করে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে হবে। যে সব কর্মীরা বাড়িতে বসে গেছেন তাদের আবার ময়দানে নামাতে হবে। এখন দেখার রবিবার বিজেপির নতুন রাজ্যে সভাপতির নাম ঘোষণা করেন কিনা।