
ওঙ্কার ডেস্কঃ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে রীতিমত কড়া ধমক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর মতে শিক্ষা ও সুরক্ষা দুইয়েরই বেহাল দশা। ফলে সংকটে রাজ্য। সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁকে না জানিয়ে পরবর্তীকালে শিক্ষাক্ষেত্রে যাতে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে বিএসএফ-কে নিশানা করলেন তিনি।
বৈঠকে স্কুলগুলির উন্নয়ন কতদূর তা নিয়ে প্রশ্ন করতেই ওঠে সেমিস্টার ব্যাবস্থার প্রসঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ আমি জানতাম না কাগজে দেখলাম। মুখ্যসচিবও এবিষয়ে জানতেন না। প্রাথমিক স্তরে সেমেস্টার। মনে রাখবে, নয়া নীতির ক্ষেত্রে আগে জানাতে হবে”। এর প্রতি উত্তরে ব্রাত্য বসু জানান, ‘দিদি, আমিও কাগজ দেখে পরশু পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে কথা বলি। মুখ্যসচিবকে জানিয়েছি। আপনি বললে তবেই হবে”। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, তিনি ছোট ছোট বাচ্চাদের বোঝা কমাতে চান বাড়াতে নয়। কলেজে যেই প্রথা চলে তা স্কুলে চলে না।
বৃহস্পতিবার নবান্নের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গকে উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে গুণ্ডা পাঠানো হচ্ছে, সীমান্ত দিয়ে ঢুকে খুনিরা খুন করে চলে যাচ্ছে’। এক্ষেত্রে বিএসএফ কর্মীদের সম্পূর্ণ দোষারোপ করেন তিনি। আরও জানান যে কেন্দ্রের মদত রয়েছে এই বিষয়ে। বিএসএফ ইসলামপুর, ,সিতাই, চোপড়া দিয়ে লোক ঢোকাচ্ছে ভারতে। আরও অনেক জায়গা দিয়ে বিএসএফ অনুপ্রবেশকারী ঢোকাচ্ছে, আপনারা প্রতিবাদ করছেন না।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সীমান্ত পাহারা বিএসএফ দেয়, তৃণমূল দেয় না’। এনিয়ে তিনি কেন্দ্রকে চিঠি দিচ্ছেন বলেও জানান। বিএসএফ সীমান্তে থাকা মহিলাদের ওপরেও অত্যাচার চালায়। কেন্দ্রকে এই সকল বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।