
স্পোর্টস ডেস্ক :বাংলা ক্রিকেট রসাতলে। খালি চোখে দেখলে হয়ত ক্রিকেটারদের উপর আঙ্গুল উঠবে। কিন্তু এই বাংলা দলই গতবার রঞ্জি ট্রফি ফাইনাল খেলে। গত কয়েকবছরে দেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক দল। কিন্তু তারা যখন নকআউটে কোয়ালিফাই করতে পারলো না তখন প্রশ্ন তো উঠবেই। আসলে ক্রিকেটাররা নয়। বাংলার ভরাডুবির গোড়ায় গলদ। আর তার প্রধান কালপিট মনে করা হচ্ছে সিএবির এক কর্তা। অতীতে তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ উঠেছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা থেকে বিভিন্ন অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা। বিশ্বকাপে যেখানে টিকিটের হাহাকার তিনি নিজের লোকেদের ডেকে প্রকাশ্যে টিকিট বিতরণ করেছেন। এমন অসংখ্য অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।তার জন্যই ঋদ্ধিমান সাহা বাংলা ছাড়তে বাধ্য হন।এবারে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে যে তিনি টাকার বিনিময়ে ক্রিকেটারদের সুযোগ করে দেন বাংলার হয়ে খেলার। ভুয়ো আঁধারকার্ড দেখিয়ে ভিনরাজ্যের ক্রিকেটার খেলানো মাস্টার মাইন্ড তিনিই। অনেকদিন এই অভিযোগগুলো চাপা ছিল। কিন্তু বাংলা কেরালা ম্যাচে হারতেই ছাই চাপা আগুন বেরিয়ে এলো। কেরালা ম্যাচ ছিল বাংলার পক্ষে ডু অর ডাই ম্যাচ। কিন্তু অভিমন্যু ঈশ্বরণ ফিরতেই আচমকা তাঁর সঙ্গে খেলানো হলো রণজ্যোৎ সিং খাইরাকে। রীতিমতো প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ঘটিয়ে। আর তিনি ব্যর্থ হতেই বাংলার ক্রিকেটের আগুন জ্বলে গিয়েছে।
এই কর্তার কোটার প্লেয়ার রণজ্যোৎ । শুধু রণজ্যোৎই নয় ১২-১৩ জন ঠিক থাকলেও অনেক ক্রিকেটার সুযোগ পাচ্ছেন, আবার না খেলেই বাদ পড়ছেন। আসছেন নতুন মুখ।
কোন যুক্তিতে ১৮ জনের দল নিয়ে ম্যাচ খেলতে যেতে হচ্ছে,।
বিভিন্ন দলে তাঁর ক্লাবের বা তাঁর ‘পেটোয়া’দের খেলানোর জন্য যেভাবে তদ্বির করছেন তা জানতে পেরেছেন সিএবির বাকি কর্তারা।
দল নির্বাচনী বৈঠক-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় যেখানে তাঁর থাকার অধিকার বা দরকার কোনওটাই নেই, সেখানে ঢুকে পড়েন। এমনকী দল নির্বাচনে যেখানে সচিবের থাকার শুধু নিয়ম তিনি চলে যান। তাকে নিয়ে জল অনেকদূর গড়িয়েছে। এখন দেখার সিএবি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় কোনো ব্যবস্থা নেন কিনা ওই কর্তার প্রতি।নাহলে কিন্তু আরও আগামী কয়েকবছর রঞ্জিট্রফি জয় কেবল স্বপ্নই থেকে যাবে অভাগা বাংলার।