
ওঙ্কার বাংলা ডেস্ক: সমাজে নারীরা অত্যাচারিত ও নির্যাতিত হন, এমনটাই ঘটে সাধারণত। যা নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভও হয় দেশের বিভিন্ন শহরে। কিন্তু এবার উলটপুরাণ দেখা গেল গুজরাতের সুরাতে। স্ত্রীদের হাতে অত্যাচারিত হয়ে পথে নামলেন একদল পুরুষ। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে তাঁরা দাবি করলেন পুরুষ কমিশনের। প্ল্যাকার্ডে কোনওটিতে লেখা ছিল ‘ছেলেরা এটিএম নয়’, কোনওটিতে আবার লেখা ছিল ‘পুরুষ বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’।
সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে পেশায় ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষ আত্মহত্যা করেছেন। যিনি মৃত্যুর আগে স্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন। শুধু তাই নয়, স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেছেন তিনি। অতুলের কথা মনে করিয়ে দিয়ে আন্দোলনকারীদের দাবি, সমাজে মেয়েরা শুধু অত্যাচারিত হয় না। পাশাপাশি, স্ত্রীদের হাতে স্বামীও অত্যাচারিত হতে পারে। যা নিয়ে আন্দোলন বা প্রতিবাদ চোখে পড়ে না। শুধু তাই নয় পুরুষরা সঠিক বিচার পায় না বলেও দাবি তাঁদের। তাই সমাজে পুরুষদের তরফে বার্তা দিতে এই উদ্যোগ।
২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মহিলাদের হাতে কতজন পুরুষ নির্যাতিত হয়েছেন পথে নামা পুরুষদের তরফে সেই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ধর্ষণ বা অন্যান্য অভিযোগ যেগুলি মহিলাদের তরফে করা হয়, তার অনেক অভিযোগ ভুয়ো। যেগুলির কারণে পুরুষের সম্মানহানি হয়। তাই দ্রুত এই পরিস্থিতির বদল চেয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।