
বিপ্লব দাশ, কনটেন্ট হেড: বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস সম্প্রতি বিতাড়িত প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে দেশে ফেরানোর জন্য সরকারীভাবে আবেদন জানিয়েছে। প্রশ্ন এখানেই বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেদেশে প্রাণ সংশয় রয়েছে। একাধিক মামলা তাঁর বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে। ফলে ঢাকার এই আবেদন ভারত সরকার কতটা বিবেচনায় রাখবে সেটাই প্রশ্ন। আবার পাকিস্তান ও মৌলবাদীদের মদতে বাংলাদেশে যেভাবে ভারত বিরোধীতা শুরু হয়েছে তাতে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রবল ধাক্কা খেয়েছে। হাসিনার প্রত্যর্পণের আবেদনে ভারত সাড়া না দিলে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও বিষিয়ে পড়বে। বলা যায় উভয় সঙ্কট ভারত সরকারের।
গত অগস্টে নিজের দেশ থেকে স্বল্প সময়ের নোটিসে হাসিনা দিল্লিতে আশ্রয় নেন। তখন থেকেই দিল্লির কাছে গলার কাঁটা হয়ে রয়েছে ‘আশ্রিত’ হাসিনা। যদিও শেখ হাসিনার সঙ্গে দীর্ঘ মিত্রতা সম্পর্কের পর এই আশ্রয় না দেওয়া ভারতের পক্ষে দুরূহ ছিল। আবার নতুন বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে চটানোও কতটা বুদ্ধিমত্তার কাজ সেটাও প্রশ্ন। ফলে গত অগস্টের পর থেকে ক্রমশই এই নীতিদ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক ঢাকার প্রত্যর্পণ আবেদনের পর আশ্রিত মিত্রকে নিজের দেশে বিপদের মুখে ফিরিয়ে দিয়ে অমানবিক হতে পারে না কোনও মানবিক রাষ্ট্র। আন্তজার্তিক নীতি বলে, নিজের দেশে ফিরে প্রাণসংশয় থাকলে বন্দি বা আশ্রিতকে ফেরানোর সিদ্ধান্ত কোনও দেশ না-ই নিতে পারে। ফলে এই ঘটনায় বাংলাদেশের সঙ্গে স্থায়ী সম্পর্ক বিনষ্ট হওয়ার প্রভূত সম্ভাবনাও রয়েছে। যে দেশের সঙ্গে বহু বিস্তৃত সীমান্ত। সেই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে এমন জটিল সঙ্কটে জড়িয়ে পড়াও কঠিন কূটনৈতিক সমস্যা। এখন এই সমস্যার সমাধান থেকে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক কীভাবে করবে দ্রুত তা ভাবতে হবে।