
নিজস্ব প্রতিনিধি, ওঙ্কার বাংলা: আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। রাজ্যের গন্ডি পেরিয়ে দেশেও এই ঘটনা নিয়ে চর্চা হয়েছে। যা শাসকদল তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়েছে। আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল পরিস্থিতিতে শাসকের বিরুদ্ধে জনমানুষের ক্ষোভ প্রত্যক্ষ করা গিয়েছিল। তৃণমূলের চিকৎসক নেতারাও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেননি।
এই ঘটনায় শাসকদলের দেহে যে ক্ষত তৈরি হয়েছে তা মেরামত করতে এবার উদ্যোগী হল জোড়াফুল শিবির। পুরনো চিকিৎসক নেতাদেরকে পাশ কাটিয়ে বেশ তিনজন নতুন চিকিৎসককে নিয়ে চিকিৎসক সংগঠন গড়ায় জোর দিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর শাসকদলের চিকিৎসক নেতারা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিলেন। যা দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
সোমবার ‘প্রগ্রেসিভ হেল্থ অ্যাসোসিয়েশন’ নামে নতুন সংগঠনের কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। সেই নতুন সংগঠনের কমিটিও ঘোষণা করেছেন তিনি। সংগঠনে সাত জন থাকলেও তাঁদের মধ্যে নতুন তিন জন নতুন মুখ। যে তিন জনকে ওই সংগঠনে দায়িত্ব হয়েছে তাঁরা হলেন বালির বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায়, বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক খগেন মাহাতো। সূত্রের খবর, বর্তমানে তৃণমূলে ১৪ জন চিকিৎসক-বিধায়ক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে থেকে তিন জনকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুরনোদেরকে কেন নতুন সংগঠনে জায়গা নয়? সূত্রের খবর, পুরনো চিকিৎসকদের কাজে খুশি নয় জোড়াফুল শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই নতুন করে চিকিৎসক সংগঠনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।