
ওঙ্কার ডেস্কঃ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে অসুস্থ অবস্থায় বমি করে ফেলে নাবালিকা, আর সেই বমি জোর করে তার বাবাকে দিয়েই সাফ করালেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ।এমনই এক অমানবিক ঘটনার সাক্ষী রইল নদীয়ার স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। বুধবার গভীর রাতে পাঁচ বছরের নাবালিকা শিশু কন্যাকে নিয়ে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন সমীর শীল নামে এক ব্যক্তি। জানা যায়, ডাক্তার দেখানোর সময় ইমার্জেন্সির সামনে অসুস্থতার কারণে বমি করে ফেলে ওই নাবালিকা।
সে সময় কর্তব্যরত ছিলেন ওই হাসপাতালে চক্ষু বিভাগের চিকিৎসক তন্ময় সরকার। যেহেতু তার মেয়ে বমি করেছে তাই তার বাবাকে সাফ করতে হবে এই যুক্তি দিয়ে জোরপূর্বক ওই বমি সাফ করাতে বাধ্য করে কর্তব্যরত চিকিৎসক তন্ময় সরকার। সেই সাফ করার ভিডিও ক্যামেরাবন্দি করেছেন তারই পরিবারের আরেক সদস্য। ভিডিওতে দেখা যায় চিকিৎসক রীতিমতো তাকে বলছে সাফ করার কথা ।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দার ঝড় ওঠে সমাজমাধ্যমে। সমীর শীলের দাবি, এই ঘটনায় তিনি হেনস্থার শিকার হয়েছেন। পাশাপাশি তার সম্মানে আঘাত লেগেছে। এরপরই আজ শান্তিপুর হাসপাতাল সুপার এর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
হাসপাতাল সুপার তারক বর্মন বলেন, যদি এই ঘটনা সত্যি হয়ে থাকে তাহলে তা খুব নিন্দনীয় ঘটনা। আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করব। যদি ঘটনা সত্যতা প্রমানিত হয় তাহলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। অভিযুক্ত চিকিৎসক তন্ময় সরকার বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি নিজেই বমি সাফ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। আমি তাকে জোরপূর্বক কোনভাবেই সাফ করার কথা বলিনি। অন্যদিকে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিজেপি নেতা সোমনাথ কর। তিনি বলেন এই ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং অমানবিক। এটি সরকারি হাসপাতালে কিভাবে রোগীর পরিবারকে দিয়ে বমি সাফ করানো হয় সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।