
ওঙ্কার ডেস্কঃ আর কদিন পরেই নতুন বছর শুরু। ফেলে আসা ২০২৪ সালে বিশ্বের নানা দেশে যুদ্ধ ও হিংসার জেরে এই বিশ্বের পরবর্তী প্রজন্ম অথবা শিশুরা বিপর্যস্ত। প্যালেস্তাইন, ইউক্রেন, মায়ানমার, সুদান, বাংলাদেশ থেকে শুরু করে কঙ্গো ও সিরিয়ার বাসিন্দা শিশুদের মানসিক অবস্থা শোচনীয়। ইজরায়েল গাজা আক্রমণ করার পরে বেশ কয়েক হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রাশিয়া বিনা বলা-কওয়ায় ইউক্রেন আক্রমণ করার পরে ২০২৩ সালে যত সংখ্যক শিশুর মৃত্যু হয়েছে সালে ২০২৪ সালে মৃত শিশুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। ইউনিসেফের প্রকাশিত রিপোর্টে এই উদ্বেগজনক তথ্য ধরা পড়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, সারা পৃথিবীতে বর্তমানে ৪ কোটি ৭২ লক্ষ শিশু গৃহহারা। এছাড়া দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের যে সমস্ত দেশে সংঘর্ষ চলছে, সেই দেশগুলোর বাসিন্দা ৫ কোটি ২০ লক্ষ শিশু স্কুলছুট।
ইউনিসেফের রিপোর্টে এও দেখা যাচ্ছে, সারা বিশ্বের বাসিন্দা ১৯ শতাংশ শিশু সংঘর্ষ চলছে যে এলাকাগুলোতে সেই এলাকাগুলোতে বসবাস করছে। সবমিলিয়ে ৪৭ কোটিরও বেশি শিশু সংঘর্ষ এলাকায় বসবাস করছে।
গোটা পৃথিবীর যে এলাকাগুলোতে সংঘর্ষ চলছে সেখানকার বাসিন্দা শিশুরা অপুষ্টি বা খিদের শিকার। ইউনিসেফের রিপোর্টে এও উল্লেখ করা হয়েছে, যে সমস্ত এলাকায় যুদ্ধ চলছে সেই এলাকাগুলোতে শিশুরা নিরাপদ নয় একেবারেই। একইসঙ্গে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য উদ্বেগজনক। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে ইউনিসেফের ডিরেক্টর ক্যাথরিন রাসেল বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ২০২৪ সালে গোটা বিশ্বজুড়ে যে পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে তাতে পীড়িত শিশুদের অবস্থা নতুন করে শোচনীয়।
এদিকে বর্তমানে পৃথিবীতে যে যুদ্ধগুলো চলছে, তা থামার কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতিরও ক্রমশ আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে। ইউনিসেফের রিপোর্ট অনুসারে, শিশুরা শিক্ষাই নয়, ওষুধ, খাদ্য থেকেও বঞ্চিত। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তা বলা যাচ্ছে না। ২০২৪ সালে ব্যাপক সংখ্যক শিশু ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। নতুন বছর আসন্ন। এদিকে আগামী প্রজন্ম যেভাবে নিপীড়নের শিকার হয়ে চলেছে তাতে ২০২৫ সাল প্রিয় ফুল খেলবার দিন নয়।