
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ একজন মহিলা হয়ে এতটা নির্মম ! একজন মহিলা হয়ে আরেক মহিলার উপর অকথ্য অত্যাচার, নির্যাতনের ঘটনা কেউ মেনে নিতে পারছে না। বিজেপি দল মহিলাদেরকে নারী শক্তি বলে নাড়া দিলেও সেই নারীশক্তির এক প্রতিনিধি আজ রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালের বেডে পড়ে কাতরাচ্ছেন । ঘটনাটি ঘটেছে সোনামুড়া কাঠালিয়া ব্লকের যাত্রাপুর থানার অন্তর্গত বাঁশ পুকুর এলাকায়। বিলোনিয়া মহিলা থানাতে মামলা দায়ের করেছেন।নির্যাতিতা গৃহবধূ । অভিযোগ আনা হয়েছে বিজেপি দলের মহিলা প্রার্থী পুষ্পা ভৌমিক দেবনাথ সহ প্রার্থীর স্বামী দুলাল দেবনাথ ও ছেলে দীপক দেবনাথের বিরুদ্ধে। পণের জন্য বধু নির্যাতন সহ মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও প্ররোচনার অভিযোগ এনে এই মামলা দায়ের করেন তিনি।সুবিচারের আশায় শুক্রবার দুপুরে বিলোনিয়া আদলতে শরণাপন্ন হয় গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন । হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে গত ২৬ শে জুলাই । পুষ্পা ভৌমিক দেবনাথ সিপাহি জলা জেলা পরিষদের বিজেপি দলের মনোনীত প্রার্থী । তিনি গত পাঁচ বছরে বিজেপি শাসিত কাঠালিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন। এই সময়ে ভোট প্রার্থী মহিলা নেত্রী পুষ্পা ভৌমিক দেবনাথের বিরুদ্ধে পুত্র বধু চম্পার পক্ষ থেকে মামলা হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।প্রসঙ্গত, ভোট প্রার্থী মহিলা নেত্রী পুষ্পা ভৌমিক দেবনাথের ছেলে দীপক দেবনাথের সহধর্মিণী চম্পা দেবনাথ। বাড়ি বিলোনিয়া বড়পাথরী গর্জনিয়া এলাকায়। চম্পা দেবনাথের পরিবারের অনিচ্ছা সত্ত্বেও চাপে পড়ে বিয়ে দিতে হয় ভোট প্রার্থী পুষ্পা ভৌমিক দেবনাথের ছেলে দীপক দেবনাথের সাথে চার বছর আগে। সেই সময় চম্পা বালিকা ছিলো বলে বিয়ে দিতে অস্বীকার করে। বিয়ের আয়োজনে চাইল্ড লাইন জানাজানি হওয়ার পর সেই বিয়ে হয় বাঁশ পুকুর ছেলের বাড়িতে। অভিযোগ পুষ্পা ভৌমিক দেবনাথ চেয়ারম্যানের প্রভাব খাটিয়ে, এলাকার কিছু বিজেপি কর্তাদের নিজের মুঠোয় এনে চম্পার পরিবারকে চাপ দেয় বাধ্য হয়ে বিয়ে দিতে হয় মেয়ে চম্পাকে । বিয়ের কয়েক মাস যেতে না যেতেই পণের জন্য নির্যাতন শুরু হয় চম্পার উপর। বহুবার বাঁশপুকুর পঞ্চায়েতে সালিশি সভাও হয় । এই চম্পার স্বামী দীপক দেবনাথ যাত্রাপুর থানাতে এসপিও পদে কর্মরত। তার পরেও নির্যাতনের মাত্রা বন্ধ হয় নি। গত ২৬ শে জুলাই রাতে দীপক দেবনাথ পুষ্পার প্ররোচনায় প্রচন্ড ভাবে মারধর করে । যার ফলে গৃহবধূ চম্পার পা থেকে মাথা অব্দি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে । কিন্তু এই প্রার্থী ভোটারদের কাছে নারী শক্তির কথা বলে ভোট চাইছে গনদেবতার কাছে। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সুবিচার কি পাবে গৃহবধূ চম্পা ? নাকি মহিলা নেত্রী বলে পার পেয়ে যাবে, নির্যাতন প্ররোচনা ও হত্যার মামলা থেকে সেই দিকে তাকিয়ে ওয়াকি বহাল রাজনৈতিক মহল।