
নিজস্ব সংবাদদাতা, বোলপুর : এক ঐতিহাসিক সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবী মলয় পীট। কাজাখস্তানের আলমাটি শহরে আয়োজিত এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডস, লন্ডন-এর পক্ষ থেকে তাঁকে সম্মানিত করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের ৩৫টিরও বেশি দেশের ৬০ জনের বেশি বিশিষ্ট সমাজকর্মী, শিক্ষাবিদ ও প্রশাসনিক নেতৃত্ব। মলয় পীটকে এই আন্তর্জাতিক সম্মান দেওয়া হয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণে তাঁর অবদানের জন্য।
সংস্থার তরফে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মলয় পীটের নেতৃত্ব আমাদের কাছে এক প্রেরণার নাম। শিক্ষা ও সমাজসেবার ক্ষেত্রে তাঁর কাজ নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।”
বিগত দশক জুড়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের জন্য একের পর এক প্রকল্প হাতে নিয়েছেন তিনি। তাঁর উদ্যোগে দেশে গড়ে উঠেছে ১০০-রও বেশি স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার, ২৫টি আইটিআই এবং ৫০টিরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান— যার মধ্যে দুটি মেডিকেল কলেজও রয়েছে।
শুধু শিক্ষা নয়, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতেও এসেছে পরিবর্তন। তাঁর তত্ত্বাবধানে স্থাপিত স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রগুলিতে হাজার হাজার মানুষ পাচ্ছেন স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে ইতিমধ্যেই এক লক্ষেরও বেশি মানুষ দক্ষতা অর্জন করেছেন, ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ পেয়েছেন জীবিকা।
এই উপলক্ষে আলমাটি শহরে ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডস-এর অষ্টম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীও পালিত হয়। উপস্থিত ছিলেন কাজাখস্তানে ভারতের হাইকমিশনার ডঃ টি.ভি. নাগেন্দ্র প্রসাদ ও সংস্থার সিইও সন্তোষ শুক্লা।
সম্মান গ্রহণ করে মলয় পীট বলেন, “এই স্বীকৃতি আমার একার নয়, সরকারের সহায়তায় যারা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ উন্নয়নে কাজ করছেন, তাঁদের সবার। এই সম্মান দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।”
আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলার মাটির মানুষ মলয় পীটের এই সম্মান নিঃসন্দেহে গৌরবের। তাঁর কাজ নতুন প্রজন্মকে দেখাচ্ছে সামাজিক পরিবর্তনের পথ।