
ওয়েব ডেস্ক: আসন্ন আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। ৭০ দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে কলকাতা বইমেলার সূত্রপাতের পর প্রতিবছরই বইমেলায় অংশগ্রহণ করেছে মানবাধিকার সংস্থা গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি বা এপিডিআর। ২০২৫ সালের বইমেলায় এপিডিআর বুক সেলার্স অ্যান্ড পাবলিসার্স গিল্ডের নতুন নিয়মে বইয়ের স্টল না পাওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এর জেরে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসেও।
কলকাতা হাইকোর্টের বক্তব্য, এটি জনস্বার্থ সংক্রান্ত বিষয় নয়। এক্ষেত্রে গিল্ডের নতুন নিয়মই মানতে হবে। এদিকে এপিডিআর নেতৃত্বের বক্তব্য, প্রতি বছরের মতো এবছরও আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় বইয়ের স্টলের জন্যে জায়গা চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল। ১০০ স্কোয়ার ফুট জায়গার আবেদন জানানো হয়েছিল। এপিডিআর-এর সরকারস্বীকৃত রেজিস্ট্রেশন যেহেতু নেই, সেকারণে সংগঠনকে স্টল দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে গিল্ড।
এপিডিআর-এর সহ সম্পাদক আলতাফ আমেদ গিল্ড কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘গিল্ডের তরফে আমাদের জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের সঙ্গে গিল্ডের চুক্তিতে স্থির হয়েছে, সরকারি রেজিস্ট্রেশন নেই, এমন কোনও সংস্থাকে বইমেলায় স্টল দিতে দেওয়া হবে না। আমরা এই নীতির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে প্রস্তুতির কাজ চলছে’।
আলতাফের আরও অভিযোগ, ‘গোটা প্রক্রিয়ার সঙ্গে রাজ্য সরকার জড়িত। গিল্ড স্বেচ্ছাচারিতা করছে’। প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় স্টলের জন্য এপিডিআর জায়গা না পাওয়ায় কলকাতার নানা এলাকায় সংগঠনের তরফে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে।
মানবাধিকার সংস্থা এপিডিআর নেতৃত্বের অভিযোগ, ‘২০২৪ সালে বইমেলায় সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদীদের মারধর করে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এছাড়া লিটল ম্যাগাজিন স্টলগুলোকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কারণে সঙ্ঘবদ্ধ হতে দেওয়া হচ্ছে না। সাম্প্রতিককালে এধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে এপিডিআর প্রতিবাদ জানানোয় এবছর স্টল দেওয়া হচ্ছে না’।
যদিও গিল্ডের তরফে এপিডিআর-এর অভিযোগের জবাব দেওয়া হয়নি। গিল্ড সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বিচারাধীন মামলা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না’।