
ওঙ্কার ডেস্ক:৯ই আগস্ট আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ কাণ্ডের পর কেটে গেছে প্রায় ৫ মাস এখনও বিচার কোন বিচার দিতে পারেনি সুপ্রিম কোর্ট। এরই মধ্যে অভয়ার পরিবারের আইনজীবীর দায়িত্ব ছাড়লেন বৃন্দা গ্রোভার। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন বৃন্দাই, এবং এদিন দায়িত্ব ছাড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘কিছু নির্দিষ্ট কারণ এবং পরিস্থিতির জন্য বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত তিন মাস ধরে নিয়ম-নীতি মেনেই যাবতীয় আইনি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের সঙ্গেও সহযোগিতা করা হয়েছে।’’
সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই কেসের সাথে যুক্ত ছিলেন বৃন্দা ও তার দফতর, তার আগে এই কেসে অভয়ার পরিবারের পক্ষে লড়াই করছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, পরে বৃন্দাকে নিযুক্ত করেন অভয়ার পরিবার। এবং এতদিন বিনা পারিশ্রমিকে সুপ্রিম কোর্ট ও শিয়ালদা কোর্ট দুই জায়গায় লড়ছিলেন বৃন্দা ও তার দফতরের কর্মচারীরা। দায়িত্ব ছাড়ার প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান, ‘‘শিয়ালদহ আদালতে আরজি করের ধর্ষণ এবং খুনের মামলার বিচারপ্রক্রিয়া চলছে। বিগত কয়েক দিনে ৫১ জনের মধ্যে ৪৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণও শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি দু’-তিন দিনের মধ্যেই বাকি কয়েক জনের সাক্ষ্যগ্রহণ নেওয়া হয়ে যাবে। এবং আশা করছি অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেবে সিবিআই। দ্রুত বিচার চাইছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁরা আশা করছেন, এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত থাকলে তা খুঁজে বার করবে সিবিআই।’’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ১৭ মার্চ দিয়েছে, যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভয়ার মা- বাবা থেকে সিবিআই এর আইনজীবীও। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পরই সিবিআইকে নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন নির্যাতিতার বাবা-মা। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, “আদালতে দাঁড়িয়ে ‘মিথ্যা’ বলছে সিবিআই,আদালতে দাঁড়িয়ে এ ভাবে মিথ্যা বলা যায়, তা আমরা জানতাম না।” তাছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের একের পর এক তারিখ দেওয়াতে অভয়ার মা- বাবা প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের বিচারব্যাবস্থা নিয়ে কিন্তু তারা সাফ জানিয়েছেন যে তারা আইনি পথের লড়াই তারা চালিয়ে জাবেন যতদিন না দোষীরা শাস্তি পাচ্ছেন। এই অবস্থায় দায়িত্ব ছাড়লেন বৃন্দা কাজেই তার জায়গায় কোন নতুন আইনজীবী দায়িত্ব নেবে, সেই নিয়েই এখন তুঙ্গে জল্পনা।