
ওঙ্কার বাংলা অনলাইন ডেস্কঃ ঘড়িতে ঠিক দুপুর দুটো বেজে ৩৫ মিনিট। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস স্টেশনের দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দিল ভারতের গর্বের চন্দ্রযান ৩, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর পালকে যুক্ত হল আরেকটি পালক। সব ঠিক ঠাক চললে ঠিক ৪০ দিন পর ২৩ অগাস্ট ভারতীয় সময় বিকেল ৫টা বেজে ৪৭ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পদার্পন করার কথা তার। এদিন চন্দ্রযান-৩ এর উত্ক্ষেপণ উপলক্ষে ইসরোর সতীশ ধাওয়ান স্পেস স্টেশনের কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং, ইসরোর অধিকর্তা সোমনাথ সহ বিজ্ঞানীরা। এদিন উত্ক্ষেপনের ১৭ মিনিটের মধ্যেই পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বল কাটিয়ে মহাকাশে চন্দ্রযানকে পৌঁছে দেয় GSLVM-3 রকেট। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই রকেটটি বিজ্ঞানী মহলে বাহুবলি নামেই বেশি পরিচিত। চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযানের রোভার সফল ভাবে অবতরণ করলে ভারত হবে আমেরিক, রাশিয়া, চিনের পর চতুর্থ দেশ, যার ঝুলিতে থাকবে এই বিরল কৃতীত্ব। ইসরোর জানিয়ে দিয়েছে উত্ক্ষেপণ সফল। ইসরোর এই সাফল্যে বিজ্ঞানীদের ফ্রান্স থেকে অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, অমিত শাহ, সোনিয়া গান্ধি সহ বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতারা। অভিনন্দন বার্তা এসেছে নাসা, অস্ট্রেলিয়ান স্পেস সংস্থা থেকেও। ইসরো সূত্রে খবর চন্দ্রযান ৩ প্রকল্পের বাজেট ৬২৫ কোটি টাকা, যা কিনা আদিপুরুষ সিনেমা তৈরির বাজেট ৭০০ কোটির থেকে ঢের ঢের কম। উল্লেখ্য এর আগে ২০১৯ সালে চাঁদের উদ্দেশ্যে চন্দ্রযান ২ পাঠিয়েছিল ভারত। কিন্তু ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চাঁদের পাথুরে বুকে আছড়ে পরে ল্যান্ডার বিক্রম। অতীতের সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার নতুন করে চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। অতীতের ভুল ত্রুটি সামলে ব্যবহার করা হয়েছে আরও উন্নত প্রযুক্তি। এবার চাঁদের বুকে ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানকে অক্ষত শরীরে নামাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তাঁরা। আপাতত সাফল্য কামনায় ৪০ দিন অধীর আগ্রহ আর উতকন্ঠায় বিজ্ঞানীদের সঙ্গে রাত কাটাবেন প্রত্যেকটি ভারতবাসীও।