
সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়ঃ চাঁদের মাটিতে সফলভাবে পা রাখুক চন্দ্রিযান-৩, প্রহর গুনছে বসিরহাটের গবেষক পরিবার। ইতিমধ্যে চন্দ্রাযান সফল উৎক্ষেপণ দেখেছে গোটা দেশ। এবার চাঁদের মাটিতে সফলভাবে পা রাখবে এমনটাই মনে করছেন ইসরোর বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে কোটি কোটি ভারতবাসী। ২০০৮-এ চন্দ্রযান-১ এবং ২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২ সফলভাবে উৎক্ষেপণ হলেও শেষ মুহূর্তে গিয়ে চাঁদে পা রাখতে পারিনি। হতাশা গ্রাস করেছিল গোটা দেশের মানুষের সঙ্গে ইসরো বিজ্ঞানীদেরও। উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির মানস সরকার ২০০৬ সালে ইসরোতে গবেষক হিসেবে নিযুক্ত হন। সেখান থেকেই একের পর সফল উৎক্ষেপণ দেখলেও শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। সেই কথা জানালেন বিজ্ঞানীর মা রঞ্জিতা সরকার, বাবা শচীন্দ্রনাথ সরকার। মা রঞ্জিতা দেবী জানান ,বসিরহাটের গাছা আঁখারপুরে ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের কলাপোতা গ্রামে সরকার পরিবারের বসবাস। মানস সরকারের পড়াশোনা ইডিন্ডা ইউনিয়ান হাই স্কুলে। তারপর যাদবপুর এবং রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে। রাজ্যপালের কাছ থেকে পেয়েছেন গোল্ড মেডেলও। ২০০৬ সালে হলদিয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রফেসারে নিযুক্ত হন। সেই সময় আমেরিকা থেকে ডাক পেলেও তিনি যাননি দেশের হয়ে কাজ করবেন বলে। ২০০৬ সালেই ইসরো গবেষণা কেন্দ্রে নিযুক্ত হন ইঞ্জিনিয়র হিসেবে। চন্দ্রযান ১ চন্দ্রযান ২-এ প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন। সফল উৎক্ষেপণ হলেও শেষ পর্যন্ত চাঁদে পা রাখতে পারেনি দুটি অভিযান। এবারে শেষ পর্যন্ত চাঁদে যাতে পা রাখতে পারে সফলভাবে তার জন্য দিন গুনছেন গবেষক পরিবারের সদস্যরা। গোটা দেশ যেমন অপেক্ষা করছে সেই সঙ্গে অপেক্ষা করছে বাঙালি গবেষক পরিবারের সদস্যরাও। চন্দ্রযান যাতে সফলভাবে চাঁদের মাটিতে পা রাখতে পারে, সেই কামনা করছে পরিবারটি।