
ইন্দ্রানী চক্রবর্তী: ছত্তিশগড়েনারায়ণপুর-দান্তেওয়াড়া সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে এনকাউন্টার, নিহত ৩৬জন মাওবাদী। এটি সাম্প্রতিককালে নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে, একই সাথে এযাবৎ মাও শিবিরের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।
সূত্রের খবর গিয়েছে শুক্রবার গোয়েন্দা সূত্রে মাওবাদী উপস্থিতির খবর পেয়ে অভিযান চালায় ছত্তিশগড়ের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) আর স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। যৌথ অভিযানে পৃথক দলগুলিকে গতকাল ওর্চা এবং বারসুর থানার অন্তর্গত গোভেল, নেন্দুর এবং থুলথুলি গ্রামে পাঠানো হয়েছিল। তারা এসব গ্রামে চিরুনি অভিযান চালায়। শুক্রবার দুপুর নাগাদ, নেন্দুর-থুলথুলির কাছে জঙ্গলে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে নিহত হয় ৩৬ জন মাও গেরিলা বাকীরা জঙ্গলে পিছু হঠতে সক্ষম হন। এই অভিযানে একে সিরিজ সহ বেশ কিছু অ্যাসল্ট রাইফেল এবং অন্যান্য অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলেও সূত্র জানিয়েছে।
ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও গতকালের এই অভিযানের পর উল্লাস প্রকাশ করে বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “নকশালবাদ তার শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে… রাজ্য থেকে নকশালবাদ অবশ্যই নির্মূল হতে চলেছে… কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই বিষয়ে নয় মাসে দুবার রাজ্য সফর করেছেন এবং তিনি ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নকশালবাদের অবসান ঘটাতে সংকল্প করেছেন।”
প্রসঙ্গত গত কয়েকদিন আগে রাজ্যের ১২ টি জায়গায় মাও খোঁজে সমাজকর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় এনআইএ এবং এসটিএফ। এর আগেও বাংলা এবং আসাম থেকে একের পর এক গ্রেফতার হয়েছেন সিপিআই(মাওবাদী)র কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্ব। গত কয়েকবছর যাবৎ নিরাপত্তা বাহিনীর তরফ থেকে জোর ধাক্কার সম্মুখীন ঝাড়খন্ড, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্রের মাও গেরিলারা। এতে এই একটা বিষয় স্পষ্ট যে মাওবাদী কার্যকলাপ এবং সংগঠন নিঃশেষ করতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্রীয় সরকার। এছাড়াও গত ১লা অক্টোবর এনআইএর সাথে এসটিএফের অভিযান এবং গতকাল ছত্তিশগড় এসটিএফের অভিযানের পর আপাত অনুমান কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলি শত বিরোধীতা সত্বেও এক লাইনে দাঁড়িয়েছে।