
ওয়েব ডেস্ক: এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার পর ভারতের প্রতিবেশী দেশ চিনে চলছে নাগরিক আন্দোলন। ২০২২ সালে চিনে কমিউনিস্ট পার্টির জনবিরোধী নীতির বিরোধিতায় নাগরিক আন্দোলন জোরালো হয়েছিল। এর দুবছরের মাথায় ফের আন্দোলন, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, গত কয়েকদিন আগে শুরু হওয়া আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। একইসঙ্গে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ছে।
চিনের অভ্যন্তরের সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে জনবিক্ষোভের সংবাদ। এই ঘটনার সূত্রপাত এক কিশোর ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার পরে। সূত্রের খবর, ১৭ বছরের ওই ছাত্রের মৃতদেহ মেলে পুচেংয়ের একটি ভোকেশনাল ট্রেনিং স্কুল চত্বর থেকে। মৃতের নাম ডান চাংজিন। পুলিশের বক্তব্য, ওই ভোকেশনাল ট্রেনিং স্কুল চত্বরে ডান চাংজিনয়ের মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনাতে।
২০২২ সালে করোনা পরিস্থিতির সময়ে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের জনবিরোধী নীতির বিরোধিতায় চিনজুড়ে নাগরিক আন্দোলন জোরালো হয়েছিল। এরপর নতুন করে যে সহিংস নাগরিক বিক্ষোভ চলছে, সেসম্পর্কে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ওই কিশোর ছাত্রের সঙ্গে প্রথমবর্ষের এক পড়ুয়ার সংঘাত হয়। প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের বিশ্রামের ব্যাঘাত হওয়ার কারণে কিশোরকে সে মারধর করেছে বলে অভিযোগ। মৃত কিশোরের শরীরে মিলেছে ক্ষতচিহ্ন।
ঘটনার প্রতিবাদে আসরে নেমেছেন মানবাধিকার কর্মীরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ইন চায়নার তরফে ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এও অভিযোগ তোলা হয়েছে, ওই কিশোরকে মারধরের প্রমাণ মানবাধিকার কর্মীদের হাতে রয়েছে।
এছাড়া ওই কিশোরের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ছেলের মৃত্যু সংবাদ জানানো হলেও তাঁদেরকে মৃতদেহ দেখতে দেওয়া হয়নি। কেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এধরনের আচরণ করেছে প্রশাসন, সেসম্পর্কে কোনও ব্যাখ্যাও এপর্যন্ত পেশ হয়নি।