
স্পোর্টস ডেস্ক : ডার্বির দিন সকালে খুশির খবর ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্য। এদিন ভিসা পেয়ে কলকাতা পা দিলেন ব্রাজিলিয়ান গোলমেশিন ক্লেইটন সিলভা।
স্ত্রী, ছেলে, মেয়েকে নিয়ে শনিবার সকালে দমদম বিমানবন্দরে নামেন ইস্টবেঙ্গলের আগের মরশুমের তারকা ফুটবলার। তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। ছিলেন কিছু ইস্টবেঙ্গল সমর্থকও। লাল হলুদ উত্তরীয়, পতাকা এবং ফুলের স্তবক দিয়ে ক্লেইটনকে স্বাগত জানানো হয়। ক্লেইটন জানিয়ে দিলেন, ‘আশা করব ইস্টবেঙ্গল জিতবে।’ গত বছর ইস্টবেঙ্গলের সেরা ফুটবলার ছিলেন এই ব্রাজিলীয়। কিন্তু আজ তাঁকে গ্যালারিতে বসেই ডার্বি দেখতে হবে।১৩৫ বছর বয়স যে টুর্নামেন্টের, সেই ডুরান্ড কাপে একশো বছরেরও বেশি সময়ের এক চিরপ্রতিদ্বন্দিতা। কলকাতা ডার্বি ছাড়া এমন এক ঐতিহাসিক মিলনমেলা আর কোথায়ই বা পাওয়া যাবে? সেই ১৯৫৭-য় ডুরান্ড সেমিফাইনালে প্রথম দেখা কলকাতার দুই ফুটবল-দৈত্যের। তার পর থেকে এই টুর্নামেন্টে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে মোট কুড়িবার। আটবার জিতেছে লাল-হলুদ শিবির ও সাতবার সবুজ-মেরুন বাহিনী। ড্র হয়েছে পাঁচবার। গত বছরও গ্রুপ পর্বেই দুই দলের লড়াই হয়। তাতে ১-০-য় জিতেছিল তৎকালীন এটিকে মোহনবাগান। এ বার কী হবে?
টুর্নামেন্ট যে ভাবে শুরু করেছে গতবারের আইএসএল চ্যাম্পিয়নরা, টানা দু’টি ম্যাচে হারিয়েছে যথাক্রমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (৫-০) ও পাঞ্জাব এফসি-কে (২-০) তাতে তাদের অপ্রতিরোধ্য মনে হতেই পারে। একসঙ্গে তিন-তিনটি প্রতিযোগিতার কথা মাথায় রেখে মাঠে দল নামাতে হচ্ছে তাদের কোচ হুয়ান ফেরান্দোকে। একদিকে চলতি কলকাতা লিগ ও ডুরান্ড কাপ। অন্যদিকে আসন্ন এএফসি কাপের প্রাথমিক পর্ব, আগামী বুধবারই যার প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে ফেরান্দোর দল। এ মরশুমে আইএসএলের মতোই তারা গুরুত্ব দিচ্ছে এএফসি কাপকেও। তার ঠিক আগে মরশুমের প্রথম ডার্বি, যাকে কম গুরুত্ব দেওয়ার কোনও জায়গাই নেই।