
বিপ্লব দাশ, কনটেন্ট হেড: কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বছর শেষে মুখ্যমন্ত্রী গেলেন সন্দেশখালি। সেখানে গিয়ে মহিলাদের বার্তা দিলেন, ‘দুষ্টু লোকের খপ্পরে পড়বেন না।’ প্রশ্ন, কে এই ‘দুষ্টু লোক?’ চলতি বছরের শুরুতেই সন্দেশখালি ছিল সংবাদের শিরোনামে। গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির ‘বাদশা’ শেখ শাজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির আধিকারিকরা। তখন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বলেছিলেন, ‘সন্দেশখালিতে শাজাহানকে টার্গেট করেছে ইডি।‘ যদি তার ঠিক ১৩ দিন পর বাঁকুড়ার সভায় মমতা বলেছিলেন, ‘আমি জ্ঞানত কোনও অন্যায়কে সাপোর্ট করি না। অজান্তে কিছু হয়ে থাকলে সেটাকেও সমর্থন করি না।’ আর বছর শেষে সন্দেশখালির বুকে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘দুষ্টু লোকের খপ্পরে পড়বেন না।’
‘দুষ্ট লোক’ কী কাজ করে? ক্ষমতার অলিন্দে থেকে গরিব মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে জমি দখল, তোলাবাজি, মহিলাদের অসম্মান-সহ নানা অসামাজিক কাজ করে। সন্দেশখালিতে দাঁড়িয়ে মমতার বার্তা, ‘আপনার টাকা, আপনার অধিকার। আমাদের প্রকল্পের জন্য টাকা লাগে না। কাউকে টাকা দেবেন না। সন্দেশখালিতে অনেক টাকার অঙ্কে খেলা হয়েছে। মানুষকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। কিন্তু মিথ্যা বেশিদিন চলে না। সকলে মিলেমিশে থাকবেন। দুষ্টু লোকের খপ্পরে পড়বেন না। মহিলাদের বলছি কেউ ডাকলে চলে যাবেন না।‘ তাহলে সন্দেশখালির ‘দুষ্টু লোক’ যে শাজাহান, মুখ্যমন্ত্রী ঠারেঠোরে জানিয়ে দিলেন!
সন্দেশখালির ‘দুষ্টু লোক’ চিহ্নিত হল! বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডলও কী ‘দুষ্টু লোক’ গোত্রে পড়েন? চাকরি ও রেশন দুর্নীতিতে যারা জড়িত তারাও কি সমগোত্রীয়? প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী এখন সংশোধনাগারে। দুই মন্ত্রীর গ্রেপ্তারের পরই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এখনও বিধায়ক পদে বহাল রয়েছেন দু’জন। যদি এরা সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পান, তাহলে ফের কি মন্ত্রিসভায় ফিরবেন? দলীয় কাজকর্মে যুক্ত হবেন? নাকি ‘দুষ্টু লোক’ তকমা তাদের গায়েও লাগবে?