স্পোর্টস ডেস্ক :টাটা স্টিল কলকাতা ২৫ কে ম্যারাথনের অ্যাম্বাসাডর হিসেবে কলকাতায় হাজির অলিম্পিকের রুপো জয়ী, দু”বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হার্ডলার কলিন জ্যাকসন। ১৯৮৮ সিওল অলিম্পিক্সে রুপো জেতার পাশাপাশি ১৯৯৩ এবং ১৯৯৯ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন। কমনওয়েলথ গেমসে জোড়া সোনার মালিক। বিশ্বমঞ্চে মোট ২৫টি পদকের অধিকারী ওয়েলসের তারকা অ্যাথলিট। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ফটোশুটের পর আসন্ন প্যারিস অলিম্পিক থেকে শুরু করে নীরজ চোপড়াকে নিয়ে খোলামেলা আলোচনায় মাতলেন তারকা অ্যাথলিট। টোকিও অলিম্পিকে সোনাজয়ী জ্যাভলিন থ্রোয়ার কি এবারও স্বর্ণপদক জিতবে? আশাবাদী জ্যাকসন। কীভাবে নিজেকে চাপমুক্ত রেখে লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে, সেই প্রক্রিয়া বাতলে দিলেন বিশ্বজয়ী। কলিন জ্যাকসন বলেন, “নীরজের ওপর প্রত্যাশার চাপ থাকবে। সেটা ও নিজেও অনুভব করবে। আজকাল মনঃসংযোগ বাড়ানোর একাধিক উপায় আছে। তাই অলিম্পিকের চাপ নিলে হবে না। সবসময় সেটা মাথায় রাখাও চলবে না। চাপমুক্ত হয়ে নামতে হবে। নিজের ওপর আস্থা রাখতে হবে। এটাই হবে ওর সাফল্যের চাবিকাঠি। ওর ফোকাস এবং কমিটমেন্ট অন্য পর্যায়। জ্যাভলিন ছোড়ার সময় বর্ষা সঠিক জায়গায় রাখার চেষ্টা করে। রিলিজটা দেখার মতো।” নিজে একসময় টানা ৪৪টি রেস জিতেছেন। বর্তমান অ্যাথলিটদের মধ্যে ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে। একটানা সাফল্যের রহস্য ফাঁস করলেন তারকা হার্ডলার। একইসঙ্গে ভারতীয় অ্যাথলিটদের প্যারিস অলিম্পিকে সাফল্যের মন্ত্র দিলেন। কলিন জ্যাকসন বলেন, “আমি একটা মাইন্ডসেট নিয়ে নামতাম। চ্যাম্পিয়ন হিসেবে গর্ববোধ করতাম। প্রতিবার নতুন লক্ষ্য সেট করতাম। প্রত্যেক রেসকেই ফাইনাল হিসেবে ধরতাম। এখনকার অ্যাথলিটরা মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এক মিনিটের জন্যও মনঃসংযোগ হারানো যাবে না। তাহলেই জায়গা দখল হয়ে যাবে। সেই মরিয়া চেষ্টা থাকতে হবে। ভারতীয় অ্যাথলিটরা ভালই করছে। ভয় পেলে চলবে না। মন থেকে ভয় পুরোপুরি মুছে ফেলতে হবে। অলিম্পিকে নামছি ভাবলে হবে না। সেটা ভুলে যেতে হবে। ইতিবাচক মনোভাব রাখতে হবে।