
ওঙ্কার ডেস্ক: চলতি মাসের ২৬ জানুয়ারি থেকে বিশেষ অভিযানে নামতে চলেছে কংগ্রেস। এই রাজনৈতিক কর্মসূচির নামকরণ করা হয়েছে ‘জয় বাপু, জয় ভীম, জয় সংবিধান অভিযান’। সারা দেশের সমস্ত জেলায় কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা এই অভিযানে সামিল হতে চলেছেন বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর।
কী প্রচার করা হবে ‘জয় বাপু, জয় ভীম, জয় সংবিধান অভিযানে’? এব্যাপারে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৪৯ সাল থেকে দেশের সংবিধান প্রণেতা বাবাসাহেব অম্বেডকর এবং দেশের সংবিধানকে লাগাতারভাবে অবমাননা করে চলেছে সঙ্ঘ পরিবার। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে অম্বেডকরের অবমাননা করে যে মন্তব্য করেছেন তা নতুন কিছু নয়। প্রসঙ্গত, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও শাহর ওই মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আসরে নেমে পড়েছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সম্প্রতি হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে বিজেপির ফল খারাপ হয়েছে। এরপর অম্বেডকর ইস্যু বিরোধীদের হাতের তুরুপের তাস হয়ে উঠেছে। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেস নেতা পবন খেরা জানিয়েছেন, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন থেকে কংগ্রেস অম্বেডকরের অবমাননার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল হতে চলেছে। সেজন্যে এখন থেকেই চলবে জোরকদমে প্রস্ততি।
কংগ্রেস নেতা পবন খেরা আরও জানিয়েছেন, ১৯৪৯ সালে অম্বেডকরের নেতৃত্বে স্বাধীন ভারতের সংবিধান প্রণয়নের পরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ তাদের দলীয় মুখপত্রে দাবি করেছিল, যে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছে তা অভারতীয়। এমনকি ১৯৪৯ সালে অম্বেডকরের কুশপু্ত্তলিকাও দাহ করে সঙ্ঘ। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে অম্বেডকরের বিরুদ্ধে যে মন্তব্য করেছেন তা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের রুচিমাফিক।
অম্বেডকরের অবমাননা করে শাহর মন্তব্যের পরে অন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিবাদ জানালেও প্রতিবাদে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় কংগ্রেসই। এদিন দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেস খেরা পবন খেরা দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার দেশের সংবিধানকে পাল্টে দিয়ে মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করতে চাইছে। এই প্রচেষ্টা রুখে দিতে কংগ্রেস বদ্ধপরিকর।