
স্পোর্টস ডেস্ক : শহরের সাধারণ মানুষের যখন এসব নিয়ে চর্চা, তখন ইডেনের ভ্রূক্ষেপ নেই। মশগুল খেলাতেই। আবেগে ভাসছে ধোনির জন্য। আর সুযোগ নাও হতে পারে তাঁকে খেলতে দেখার। তাই একটা টিকিটের জন্যও চলছে আকুতি। মঙ্গলবার দুপুর থেকে ঠায় দাঁড়িয়ে মাহি ভক্তরা ইডেনের সামনে। সোমবার ইডেনে অনুশীলনে আসেননি ধোনি। মঙ্গলবারও এলেন না। হতাশ হয়েই থাকতে হল মাহি ভক্তদের। নাহ, ইডেনে অনুশীলন দেখার সৌভাগ্য হয়নি। পরেরবার আর দেখা যাবে কিনা, তাও কেউ জানে না। এখন প্রশ্ন, প্লে অফ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর চেন্নাইয়ের কাছে গুরুত্বহীন এই ম্যাচে আদৌ নামবেন তো ধোনি ? কেউই কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারলেন না।
এক ঝটকায় যেন ম্যাচ দেখার আগ্রহও কমতে শুরু করল তারপর থেকে। অবশ্য সাংবাদিক সম্মেলনে মাহির খেলার বিষয়ে আশ্বস্ত করলেন সিমন্স। তিনি বলেন, ‘ধোনি ওর পরিস্থিতি সবচেয়ে ভাল জানে এবং বোঝে। ও নিজে কোন অবস্থার আছে সেটা ভাল করে জানে। টুর্নামেন্টের শুরুতে ও প্রচণ্ড পরিশ্রম করে। ওর কোনও সমস্যা নেই। কেকেআরের বিরুদ্ধে পাওয়া যাবে।’ এটাই কী শেষ ম্যাচ হতে চলেছে ইডেনে ? সিমন্স বলেন, ‘সবাই এমএস ধোনিকে ক্রিকেটার হিসেবে দেখে। কিন্তু মানুষ হিসেবেও ও দারুণ। দলের ওপর প্রচুর প্রভাব রয়েছে। তরুণ ক্রিকেটারদের সাহায্য করে। মাঠে ও শেষ কথা। অধিনায়ক থাকুক বা না থাকুক, ও সবসময় দলকে সাহায্য করার জন্য তৈরি। সেটা দল বাছাই থেকে শুরু করে ম্যাচের স্ট্র্যাটেজি। ও দলের সমস্ত আলোচনা এবং সিদ্ধান্তে থাকে। ধোনির উত্তরসূরি হওয়া সহজ নয়।’ ধোনি খেলবেন মানেই গ্যালারি হয়ে উঠবে হলুদ ক্ষেত। সে চেন্নাই হোক, দিল্লি হোক আর কলকাতা। সব জায়গাতেই একই ছবি।
মরণ বাঁচন ম্যাচে নামার আগে কেকেআর কোচ চন্দ্রকান্চ পণ্ডিত তা নিয়ে ভাবছেন না। তিনি বলেন, ‘আমরা গ্যালারির আওয়াজে কান দিই না। ক্রিকেটারদের বলাই আছে, খেলায় মনোনিবেশ করো।’ ম্যাচের দিন পূর্বাভাস রয়েছে ঝড়-বৃষ্টির। ফলে, যে কোনও সময় অঙ্ক জটিল হতেই পারে। যাই হোক না কেন, ঘরের মাঠে জয়ের ছন্দ হারাতে কিছুতেই রাজি নয় কেকেআর। চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত বলেন, ‘আমাদের যে পরিকল্পনা আছে, তা সঠিক সময় প্রয়োগ করতে হবে। প্রতিপক্ষ কে, তা নিয়ে ভাবছি না। সাফল্য টাকে ধরে রাখতে হবে। অতীতে কী হয়েছে ভাবতে চাই না। প্রতি ম্যাচ ধরে এগোতে চাই। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’