
উজ্জ্বল হোড়,জলপাইগুড়ি: প্রদীপের নিচেই অন্ধকার। দেবী চৌধুরানী ও ভবানী পাঠক স্মৃতি বিজড়িত মন্দিরে দীপাবলীর সঙ্গে কালী পূজো অনুষ্ঠিত হলেও , অন্ধকারে রয়ে গেলেন পুড়ে যাওয়া মন্দির সংস্কার করা শিল্পীদের পরিবার।
দু হাজার সালের ১৬ ই ফেব্রয়ারি আচমকাই আগুন লেগে সম্পূর্ন ভস্মিভূত হয়ে যায় জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপূর জঙ্গলের মাঝে অবস্থিত সন্ন্যাসী বিদ্রোহের অন্যতম পিঠস্থান বলে পরিচিত এবং বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস দেবী চৌধুরানীতে উল্লেখিত প্রাচীণ কাঠের মন্দির সহ দেবী চৌধুরানী এবং ভবানী পাঠকের মূর্তি।আগুনে , পুড়ে ছাই হয়ে যায় সন্ন্যাসী বিদ্রোহের এক খন্ড ইতিহাস।এর পরেই তৎকালীন পর্যটন মন্ত্রি এবং সর্বোপরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শুরু হয় মন্দির সহ মূর্তি গোড়ার কাজ।
নানান তর্কবিতর্কের পর ২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন ও করেন সংস্কার হাওয়া জঙ্গলের মাঝে মন্দিরটির।
রবিবার যথাযথ মর্যাদায় প্রাচীণ রীতিনীতি মেনে সন্ধ্যে থেকেই শুরু হয়েছে শ্যামা পূজো।এরই মাঝে বিষাদের সুর শোনা গেলো বৈকুণ্ঠ পুরের জঙ্গলে দেবী চৌধুরানী এবং ভবানী পাঠকের মন্দির সংস্কারক বিশ্বজিৎ ঘোষের গলায়।
তিনি বলেন, ২০২১ সালে কাজ সম্পন্ন করার পর ও এখন পর্যন্ত আমরা নির্ধারিত অর্থের অর্ধেক মাত্র পেয়েছি, এবং সেই কারনে বর্তমানে সরকারী পর্যায়ে একটি মামলা ও বিচারাধীন, আজ দীপাবলীর দিনে আমরা যারা মন্দির সংস্কারের কাজে যুক্ত ছিলাম তাদের ঘরে এক প্রকার অন্ধকার ই বিরাজমান ।তবে এখনো আশা ছাড়েন নি বিশ্বজিৎ বাবু ।ভবিষ্যতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রাপ্য আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলে আশাবাদী শিল্পী ও তার পরিবার