
ওঙ্কার ডেস্ক: দিল্লিতে টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর বড় বিপর্যয়ের মুখে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ। শনিবার দিল্লির ৭০টি বিধানসভা আসনের ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর প্রাথমিক প্রবণতায় এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির ৪৮টি আসনে বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে আম আদমি পার্টি। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল এগিয়ে রয়েছে মাত্র ২২টি আসনে।
আপের এই বড় বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে ইতিমধ্যে ‘রাজনৈতিক ময়নাতদন্ত’ শুরু করেছেন পর্যবেক্ষকরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে আম আদমি পার্টি ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে দলটি নিজেদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে হয়েছে। আবগারি দুর্নীতি মামলায় জেলে যেতে হয়েছে দলের সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে, জেলে যেতে হয়েছে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে।
২০১৫ এবং ২০২০ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছিল আম আদমি পার্টি। ক্ষমতায় আসার পরে স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে দলটি। বিদ্যুৎ এবং জলে ভর্তুকি দেওয়ায় খুশি হয়েছিল দিল্লিবাসী। লোকসভা ভোটে জয়ী হওয়া সত্ত্বেও দিল্লি বিধানসভা ভোটে সুবিধা করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর গুণমান বৃদ্ধি-সহ বেশকিছু প্রতিশ্রুতি না পূরণ করতে পারায় দিল্লিবাসীর মধ্যে ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হতে থাকে। সেই আবহে ডাবল ইঞ্জিন সরকার হলে দিল্লির উন্নয়ন আরও ভালো হবে এই বিষয়টি সামনে রেখে প্রচার করে বিজেপি। আর তাতেই রাজধানীবাসীর মন জয় করতে সক্ষম হয় পদ্ম শিবির।
সাম্প্রতিককালে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিজেপি যে বিষয়টি নিয়ে সেটি হল ‘শিশমহল’ বিতর্ক। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনকে সংস্কার করা হয়েছে জনগণের টাকায়। দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে নিজের বাসভবনকে শিশমহলে পরিণত করেছেন বলে অভিযোগ করে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন সংস্কার করতে ৫২ কোটি টাকা খরচ করেন কেজরিওয়াল। সাধারণ আম আদমি হিসেবে রাজনীতিতে প্রবেশ করলেও তাঁর এমন বিলাসবহুল বাড়ি নিয়ে সমালোচনায় সরব হয় কংগ্রেসও।