
নিজস্ব সংবাদদাতা : দিল্লির রাজপথে যেন প্রতিনিয়ত মৃত্যু ফাঁদ পেতে বসে আছে। সোমবার রাতে চাণক্যপুরীর বিজওয়াসন রোড ফ্লাইওভারে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। একটি দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে আচমকা আগুন লেগে পুড়ে মৃত্যু হল গাড়ির চালকের। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আগুন লেগে গেলে গাড়িটি ফ্লাইওভারের মাঝে একেবারে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। দমকল বাহিনী যথাসময়ে পৌঁছালেও, আগুনে দগ্ধ হয়ে সেখানেই মৃত্যু হয় চালকের। এখনও পর্যন্ত তাঁর পরিচয় জানা যায়নি।
এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, দিল্লির মতো মেট্রো শহরেও ট্রাফিক নিরাপত্তা ও রাস্তাঘাটে জরুরি পরিকাঠামোর কতটা অভাব রয়েছে। ফ্লাইওভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলে, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কি পর্যাপ্ত সিসিটিভি, প্যাট্রোলিং বা সুরক্ষা নেই ?
শুধু এটুকুই নয়—সেই একই দিন নয়াদিল্লির সৈনিক এনক্লেভ এলাকায় আরও একটি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয় সাত বছরের এক শিশু। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দিল্লি পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। আপাতত তার অবস্থা স্থিতিশীল, তবে প্রশ্ন থেকে যায়, একটি শিশু কীভাবে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হল ?
বারবার দুর্ঘটনার পরও দিল্লির রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও জরুরি নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোনও দৃশ্যমান উন্নতি হয়নি। ফ্লাইওভারে আগুন লাগা থেকে শুরু করে শিশু আহত হওয়ার মতো ঘটনায় প্রমাণিত শুধু আইন বানিয়ে বসে থাকলেই চলে না, তার বাস্তবায়ন এবং কঠোর নজরদারিও সমান জরুরি।
চানক্যপুরী ফ্লাইওভারে ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য প্রশাসনের গাফিলতিকেই দায়ী করছে সাধারণ মানুষ প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়, এটা প্রশাসনিক গাফিলতির প্রতিচ্ছবি। এখনই যদি কড়া পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে আগামী দিনে দিল্লির রাস্তায় আরও অনেক প্রাণ হারানোর আশঙ্কা থেকেই যাবে।