
সুমন গঙ্গোপাধ্যায়: এবার কি…..? কথা হচ্ছে দীপক অধিকারীকে নিয়ে। আজ্ঞে হ্যাঁ দীপক অধিকারী। যিনি ফ্যানেদের কাছে পরিচিত দেব বলে l কিন্তু আমরা কথা বলব দীপক অধিকারীকে নিয়ে- তিনি ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ। সংসদের রেকর্ডে যার পরিচিতি দেব নয়, দীপক অধিকারী নামে। সাধারণত কোন বিতর্কে থাকেন না তিনি। ঘাটালের দু’বারের অর্থাৎ ১০ বছরের সাংসদ। রীতিমতো স্টার। এলাকায় সাংসদ হিসেবে কাজ ও যথেষ্ট করেছেন। আর এবার সেই দেব নাকি রং বদল করতে চলেছেন! গত শনিবার ঘাটাল হাসপাতাল, রবীন্দ্র শতবর্ষ মহাবিদ্যালয় এবং বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। তাহলে কি দলের সাথে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন এই তারকা সাংসদ? একথা ঠিক ২৪ এর নির্বাচনে তিনি আর দাঁড়াতে চাইছেন না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি একাধিকবার তাকে অনুরোধ করেছেন। সূত্রের খবর, তারপরই নাকী এই পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। অন্দরের খবর, ইতিমধ্যেই নাকী পদ্ম শিবির থেকেই যোগাযোগ করা হয়েছে দেবের সাথে। আর সেই জল্পনা আরও বাড়িয়েছে বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর একটা বক্তব্য। কাঁথিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিরোধী দলনেতা র ইঙ্গিত পূর্ন মন্তব্য, ” এত সবে সকাল, এখনো দুপুর হয়নি। অপেক্ষা করুন দেব সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করবে দেখে নেবেন।” আর এই ‘কোট’ ই বাড়িয়েছে জল্পনা। সূত্রের খবর, একের পর এক দলের নেতা -মন্ত্রী বা সার্বিকভাবে তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
একটু যদি ফ্ল্যাশব্যাক যাওয়া যায়, নিজের প্রযোজনা সংস্থার সিনেমা ‘প্রজাপতি’তে বর্তমান বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তথা মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীকে অন্যতম মুখ্য চরিত্রতে কাষ্ট করেন দেব। যা নিয়ে দলের অন্দরে যথেষ্ঠ সমালোচনার মধ্যে পড়তে হয় তাঁকে। দলের অন্যতম মুখপাত্র কুনাল ঘোষ রীতিমত সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে নাম না করে আক্রমণ দেবকে । পাল্টা মিঠুন চক্রবর্তীর ঢালাও প্রশংসা করে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দেন কুনাল ঘোষের উদ্দেশ্যে ।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই দেবের সাথে যোগাযোগ শুরু করছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
একটু যদি ফ্ল্যাশব্যাক যাওয়া যায়, নিজের প্রযোজনা সংস্থার সিনেমা ‘প্রজাপতি’তে বর্তমান বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তথা মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীকে অন্যতম মুখ্য চরিত্রতে কাষ্ট করেন দেব। যা নিয়ে দলের অন্দরে যথেষ্ঠ সমালোচনার মধ্যে পড়তে হয় তাঁকে। দলের অন্যতম মুখপাত্র কুনাল ঘোষ রীতিমত সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে নাম না করে আক্রমণ দেবকে । পাল্টা মিঠুন চক্রবর্তীর ঢালাও প্রশংসা করে কুনাল ঘোষকে কটাক্ষ করেন দেব l সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে দেবের সাথে নাকি মিঠুন চক্রবর্তী নিজে কথা বলেছেন। যোগাযোগ শুরু করছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
কথা বলবেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মাও। ঠিক হয়েছে যদি আদৌ দেব বিজেপিতে যোগ দেন সেক্ষেত্রে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেবেন।
রাজ্যসভার সাংসদ পদের পাশাপাশি এনএফডিসি’র চেয়ারম্যান নয়তো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক কেন্দ্রীয় নেতার বক্তব্য, ” দীপক অধিকারীকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে দল। আমরা চাইছি উনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিন।”
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার দেব একটি টুইট করেন তাতে তিনি জানান, ” আজই সংসদে শেষ দিন।” স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে জল্পনা। তবে গোটা বিষয় নিয়ে সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী জানান,” দীপক অধিকারী নিজে গুনে চলচ্চিত্র জগতে যথেষ্ট পরিচিত এবং অবশ্যই গুণী তার এই গুণকে জনপ্রিয় তাকে কাজে লাগিয়েছে অপদার্থ তৃণমূল। এবং তাদের তৃণমূল লাভবান হয়েছে দেব সংসদ থাকবেন কি থাকবেন না সেটা সম্পূর্ণ তার ব্যাপার তবে তৃণমূলে থেকে নিজেকে কলুষিত না করাই ভালো।” সব মিলিয়ে তৃণমূলের সাথে যে দীপক অধিকারী কোথা ও একটা দূরত্ব বৃদ্ধি করতে চাইছেন সেটা স্পষ্ট। কি এই দূরত্ব কি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত? বলবে ভবিষ্যত।