
নিজস্ব প্রতিনিধি,রাঁচীঃ সেই দু’দশক আগের ধূপগুড়ি কান্ডের ছায়া এবার ঝাড়খণ্ডের রাঁচীতে। ভরসন্ধ্যায় দলাদিলি চকের পার্টি অফিসে ঢুকে পর পর সাতটি গুলি করে খুন করা হল এক সিপিএম নেতাকে। মৃতের নাম সুভাষ মুন্ডা। তিনি ঝাড়খণ্ড রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলেন।
সূত্রের খবর, বুধবার সুভাষ মুন্ডা বসেছিলেন পার্টি অফিসে। রাত ৮টার দিকে বাইক নিয়ে পার্টি অফিসে উপস্থিত হয় কয়েক জন। অফিসে ঢুকেই সুভাষকে লক্ষ্য করে পর পর গুলি করে। ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সিপিএম নেতা।
ঝাড়খণ্ডের ছাত্র যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন সুভাষ মুন্ডা। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক প্রকাশ বিপ্লব জানান, ‘মোটরবাইকে চড়ে কয়েক জন দুষ্কৃতী এসে পার্টি অফিসে ঢুকে সুভাষকে খুন করে। সুভাষ আমাদের রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলেন। যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে তাঁর প্রবল জনপ্রিয়তা ছিল’।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয় মানুষ। পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এলাকায় ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। পুলিশের আইজি অমল ভি হোমকর জানিয়েছেন, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির সিপিএম পার্টি অফিসে ঢুকে গুলি চলায় কেএলও জঙ্গীরা। ঘটনায় সিপিএম নেতা গোপাল চাকী সহ পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার ছায়া দেখা গেল ২১ বছর পর ঝাড়খণ্ডের রাঁচীতে।