
উজ্জ্বল হোড়, জলপাইগুড়ি : ক্লাবের জমিতে হওয়ার কথা ছিল ইকো পার্ক. কিন্তু এক দশকের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তৈরি হয়নি পার্ক। জমি জটে ধুপগুড়ি পুরসভার অন্দরেই কাজিয়া। তীব্র কটাক্ষ বিরোধীদের। জমি ফিরে পেতে মরিয়া ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি পুরসভার বিরুদ্ধে আন্দোলনে ধূপগুড়ির দক্ষিণায়ন ক্লাব। জানা গিয়েছে,২০১২ সালে ধূপগুড়ি পুরসভা তৃণমূলের দখলে আসার পর দক্ষিণায়ন ক্লাবের জায়গায় একটি ইকোপার্ক তৈরীর জন্য ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিপত্র করে পুরসভা। পার্ক নির্মাণের জন্য চুক্তির ভিত্তিতে প্রায় সাড়ে সাত বিঘা জমি পুরসভাকে দেয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ১২ বছর পার, সেই পার্ক তৈরি হয়নি বলে অভিযোগ । এদিকে, ধূপগুড়ি মহকুমা ঘোষণা হতেই মহকুমা আদালত নির্মাণের জন্য সম্ভাব্য জায়গা হিসেবে সেই মাঠ পরিদর্শন করে গেছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু সহ জেলা আদালতের প্রতিনিধি দলও এই জমি দেখে গেছেন। আর তাতেই ক্ষোভ ক্লাব কর্তৃপক্ষের।
তবে এবিষয়ে তৎকালীন পুর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তথা বর্তমান ধূপগুড়ি পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য অরূপ দে ক্লাবের আন্দোলনকে এক কথায় সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, তার আমলে ক্লাবের সঙ্গে পুরসভার চুক্তি হয়েছিল। তিনি ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে. তাঁর অভিযোগ, বোর্ড মিটিং না ডেকেই ওই জায়গায় প্রশাসনিক আধিকারিকদের পরিদর্শন করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদি ক্লাবের জমিতে আদালত নির্মাণ হয় তাহলে ক্লাবের সঙ্গে কথা বলেই পরিদর্শন উচিত ছিল।
এদিকে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে এই জমিতে ধুপগুড়ি পুরসভা কাজ শুরু করেও মাঝপথে কাজ থমকে যায়।
এ নিয়ে বিজেপি নেতা শ্যাম প্রসাদ ঘটনার তীব্র কটাক্ষ করে বলেন পুরসভার কাউন্সিলর ভাইস চেয়ারম্যান কাজিয়া। তৃণমূলের অন্দরেই ক্ষোভ।
অপরদিকে, সোমবার থেকে নিজেদের ক্লাবের জমি ফেরতের দাবীতে অবস্থান বিক্ষোভে নেমেছে ক্লাব সদস্যরা।