
প্রদীপ মাইতি, নন্দকুমার : ট্রেনের টিকিট থাকা সত্ত্বেও ট্রেনে চেপে গন্তব্যে পৌঁছতে পারলেন না বহুযাত্রী। এরপর রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে স্টেশন ম্যানেজারের সামনে বিক্ষোভে শামিল হলেন যাত্রীরা।
দিঘায় পর্যটকদের আসা যাওয়া অহরহই চলতে থাকে। তবে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন হবার পর থেকেই ব্যাপক পর্যটকদের ভিড় লেগে রয়েছে। ট্রেন থেকে বাস সর্বত্রই পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসা। এই পরিস্থিতিতে দিঘা যাওয়ার ট্রেনের টিকিট কেটেও ভিড়ের জন্য ট্রেনে উঠতে পারলেন না বহুযাত্রী ।
ট্রেনে উঠতে না পারার ক্ষোভ থেকেই সোমবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার স্টেশনে রেল যাত্রীরা ম্যানেজারের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। রেল যাত্রীদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে স্টেশন চত্বরে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় রেল পুলিশ ।
উল্লেখ্য, পাঁশকুড়া-দিঘা রেলপথে দিঘা যাওয়ার এবং আসার জন্য ট্রেন সংখ্যার পরিমাণ অনেকটাই কম। দুটি এক্সপ্রেস ট্রেন থাকলেও প্রত্যেক দিনই প্রায় দেরিতে চলে। যার ফলে লোকাল ট্রেনগুলোতে সাধারণ যাত্রীরা ভরসা করে এবং চলাচল করে। সোমবার নন্দকুমার স্টেশন থেকে দিঘা রওনার জন্য কয়েকশো যাত্রী টিকিট কেটেছিল। অন্যদিকে পাঁশকুড়া থেকেই ট্রেন ভর্তি হয়ে আসায় নন্দকুমার স্টেশন থেকে বহুযাত্রী ট্রেনে উঠতে পারেনি।
যার জেরে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় যাত্রীদের। এই পরিস্থিতি নিয়েই দীর্ঘক্ষণ চলে বিক্ষোভ। কিছুদিন আগে একইভাবে লবণ সত্যাগ্রহ স্মারক রেলস্টেশনে টিকিট কেটে ভিড় ট্রেনে উঠতে পারেনি বহু যাত্রী। তাই আগেও যাত্রা বিক্ষোভের শামিল হয়েছিল। যাত্রীদের দাবি পাঁশকুড়া-দিঘা লাইনে বাড়তি ট্রেন চালাতে হবে।
তবে এই পরিস্থিতিতে নন্দকুমার রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার জানান , “ট্রেন ভিড় থাকায় ওনারা উঠতে পারেননি। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছি”। এখন এটাই দেখার কবে রেল কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের দুর্দশা মেটাতে বাড়তি ট্রেনের ব্যবস্থা হবে।