
সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়, উত্তর চব্বিশ পরগণা : উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট থানার দণ্ডীর হাট বাজার সংলগ্ন এলাকার এক বেসরকারি নার্সিং কোর্সিং ট্রেনিং সেন্টার থেকে এক মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করলো পুলিশ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মহিলার নাম মারিয়াম খাতুন। বয়স ২৬ বছর। মৃতার বাড়ি দেগঙ্গা থানার ইয়াজ পুর এলাকায়। মৃতা মারিয়াম খাতুন বেড়াচাপার একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করতো। পাশাপাশি জানা যায় মৃতার ওই নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের আসাউদ্দিন মোল্লা নামের এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। সোমবার সন্ধ্যার পর ওই সেন্টারের দরজা বাইরে থেকে তালা দেওয়া দেখে সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর।তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় বসিরহাট থানায়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরের মধ্যে ঢুকে দেখে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে মারিয়াম খাতুনের নিথর দেহ। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে বসিরহাট স্বাস্থ্যজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতার স্বামী আলমগীর মন্ডল জানান, “সকালে বাড়ি থেকে আসার সময় বাড়িতে বলে আসে অফিসে কাজ রয়েছে, কিন্তু আমি বারণ করলেও সে শোনেনি। তিনি আরো বলেন, বসিরহাটের এক যুবক আসাউদ্দিন মোল্লার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সেই পরিকল্পনা করে আমার স্ত্রীকে খুন করেছে, ও আত্মহত্যা করতে পারে না”। অপরদিকে যার নামে অভিযোগ আসাউদ্দিন মোল্লা তিনি ফোনের মাধ্যমে জানান, যার নামে অভিযোগ আসাউদ্দিন মোল্লা তিনি বলেন, “ওই মহিলা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এসেছিল আমার সঙ্গে দেখা করতে, আমি তাকে বুঝিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলি, সে সঙ্গে সঙ্গে দোতলায় উঠে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়, ডাকাডাকি করেও কোন সাড়াশব্দ না মেলায় পাশের একটি কাঠমিস্ত্রিকে ডেকে এনে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহটি পাওয়া যায়”। পুলিশ সুত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত মৃতার বাড়ি থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী তদন্ত শুরু করবে পুলিশ।