
ওঙ্কার ডেস্ক : প্রতিবছর বর্ষার সময়, ১৬ জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, তিন মাস সংরক্ষিত বনাঞ্চলে পর্যটকদের প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকে। এই সময় বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্যের প্রজননকাল হওয়ায় জঙ্গল সাফারি, হাতি সাফারি সহ সমস্ত পর্যটন কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।
আর মাত্র তিন দিন বাকি। তারপরই প্রতিবছরের মতো তিন মাসের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে ডুয়ার্সের সংরক্ষিত বনাঞ্চল। তার আগেই জঙ্গলের টানে পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড় চোখে পড়ছে জলদাপাড়ার ও নেওড়া ভ্যালি জুড়ে। বিশেষ করে জলদাপাড়ার পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে ভিড় সামলানো দায় পরেছে প্রশাসনের। এই সময় তীব্র গরম আবার কখনও বৃষ্টির কারনে নিজেদের অবসর সময় কাটাতে পাহাড়, জঙ্গল, সমুদ্রে দলে দলে ভীড় করেন পর্যটকেরা। বর্ষার কারনে মাঝে মাঝে ধস নামার জন্যই অনেক পর্যটক-ই এবার পাহাড়ের বদলে জঙ্গলকেই বেছে নিয়েছেন ঘুরতে যাবার জায়গা হিসাবে। তাঁরা ভীড় জমাচ্ছেন জলদাপাড়া, গোরুমারা, ডুয়ার্সে।
গোরুমারা অভয়ারণ্যের ডিএফও দ্বিজাপ্রতীম সেন জানিয়েছেন, “এই সময়টা বনের নিজস্ব পুনরুজ্জীবন এবং প্রাণীদের প্রজননের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই জঙ্গলে নিরবতা বজায় রাখতে সব ধরনের পর্যটন বন্ধ রাখা হয়”। জঙ্গলের এই বার্ষিক ‘বিরতি’ বনদপ্তরের মতে, জঙ্গলের বাস্তুতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে বন্ধের আগে শেষ ক’দিনে জঙ্গলে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সংখ্যা ছুঁয়েছে রেকর্ড।