
স্পোর্টস ডেস্ক: যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে তুমুল লড়াইয়ের পর এফসি গোয়াকে হারিয়ে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উঠল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দ্বিতীয় সেমিফাইনালে এক গোলে পিছিয়ে থাকার পরেও পরপর দু’গোল করে নির্ধারিত সময়েই ২-১-এ জিতে খেতাবী লড়াইয়ে নামার যোগ্যতা অর্জন করে নিল তারা।ব্যবধান বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ৭০ মিনিটের মাথায় কামিংসকে তুলে মনবীরকে নামান মোহনবাগান কোচ। ৭৮ মিনিটে আশিকের জায়গায় লিস্টন কোলাসোকেও নামানো হয় এবং একই সঙ্গে রক্ষণকে আরও আঁটোসাঁটো করার জন্য অনিরুদ্ধ থাপার জায়গায় নামানো হয় ব্রেন্ডান হ্যামিলকে।
ম্যাচের শেষ দশ মিনিটে লড়াই আরও জমে ওঠে, দুই দলই আরও মরিয়া হয়ে ওঠায়। ৮১ মিনিটের মাথায় জয় গুপ্তার জোরালো দূরপাল্লার শট গোলে ঢোকার মুহূর্তে তালুবন্দী করে ফেলেন বিশাল। এ দিন সারা ম্যাচেই জয়ের পারফরম্যান্স ছিল নজর কাড়ার মতো। ৮৬ মিনিটে মনবীর ও ৮৭ মিনিটে সহাল গোলের সুযোগ পেলেও গোয়ার রক্ষণের তৎপরতায় দু’বারই ব্যর্থ হন তাঁরা।
আট মিনিটের বাড়তি সময়ের শুরুতেই ডান দিকের উইং থেকে আসা ফ্রি কিকে হেড করে যে গোলের চেষ্টা করেন জয়, তা দুর্দান্ত ক্ষিপ্রতায় বিশাল আটকে না দিলে হয়তো এই সেমিফাইনালও টাই ব্রেকারে গড়াত। তবে নোয়া ফের চেষ্টা করেন গোলের। কিন্তু প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের ভীড়ে আটকে যান। এই সময়ে সহালও ডানদিক দিয়ে উঠে বক্সে ক্রস পাঠালেও সাদিকুর দূর্বল শটে সে যাত্রায় সাফল্য পায়নি তারা। একেবারে শেষ মিনিটে রাওলিন বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নেন গোলে, যা অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। এর পরে আর ফল বদলানোর সুযোগ ছিল না এফসি গোয়ার পক্ষে।