
অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা: মরসুমের ম্যাচ ডার্বি আগামী ১২ অগাস্ট। সেটা নিয়ে উন্মাদনার পারদ চড়ছে। এদিন ডার্বির টিকিট তোলার জন্য ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান ক্লাবের বাইরে ভিড় করেন দুই ক্লাবের সমর্থকরা। কিন্তু ঘোষণা করা হয় বৃহস্পতিবার টিকিট দেওয়া হবে মোহনবাগান আর মহামেডান তাঁবু থেকে সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা অবধি দেওয়া হবে টিকিট।গত মরসুমের মতো চলতি মরসুমের বড় ম্যাচটি হবে যুবভারতী স্টেডিয়ামে। যেখানে সবচেয়ে কম দামী টিকিট ১০০ টাকার। সর্বোচ্চ টিকিটের দাম ২০০ টাকা। যুবভারতী স্টেডিয়ামে বি১, বি২ ও বি৩ ব্লকে টিকিটের দাম ১০০ টাকা। ডি১, ডি২ ও ডি৩ ব্লকেও ১০০ টাকায় টিকিট পাওয়া যাবে। ঠিক একই ভাবে সি১ ও সি৩ ব্লকেও প্রতিটি টিকিটের দাম ১০০ টাকা। শুধুমাত্র সি২ ব্লকে প্রত্যেকটি টিকিটের দাম ২০০ টাকা রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর, চলতি বছর ডুরান্ড কাপ আয়োজকরা মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের নির্দিষ্ট পরিমাণ টিকিট দেয়নি। যা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে ময়দানের দুই প্রধানের। যদিও এই নিয়ে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসে ডুরান্ড কর্তৃপক্ষ। সেখানে প্রতিযোগিতার আয়োজকদের সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ার কারণে বৈঠকের জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে যান ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। কিন্তু তার পরেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। জানা যাচ্ছে, ডার্বির ৬০ ঘণ্টা আগে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হতে পারে। এদিন ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানান,গত বছর সমর্থকদের জন্য একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক টিকিট আমাদের দেওয়া হয়েছিল। দুটো ক্লাবকে ৯,০০০ করে টিকিট বিক্রি করার জন্য দেওয়া হয়েছিল। সেই টিকিট বিক্রি করে টাকা আমরা ওদের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। এবছর মিনিমাম গ্যারান্টি দিয়ে টিকিট নিতে হবে। আমরা টুর্নামেন্ট খেলব, আবার অন্য লোককে গ্যারান্টি দিয়ে টিকিট কেন নেব, সেটাই বুঝতে পারছি না।’ডুরান্ড খেলতে গেলে অন্য দলগুলোর জন্য অনেক খরচ করতে হয়। তাদের বিমানের ভাড়া, হোটেল খরচ, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা অনেককিছুই করতে হয়। সেখানে তো আমাদের ক্লাবের কিছুই প্রয়োজন নেই। এরপর যদি আমরা ক্লাব থেকে সমর্থকদের টিকিট বিক্রি করতে চাই, সেখানে আমাদের টাকা দিয়ে টিকিট ওদের থেকে কিনতে হবে। নয়ত গ্যারান্টি দিয়ে টিকিট নিতে হবে এমন বাধ্যতামূলক জায়গায় আমরা নেই। ৩০-৩৫ ভিভিআইপি টিকিট নিয়ে আমাদের তো কোনও লাভই হবে না। তার থেকে আমরা মাঠে যাব না। তবে আশা করব, ডুরান্ড কাপ যেন ভালোভাবে আয়োজিত হয় এবং সফল হয়।’