
স্পোর্টস ডেস্ক :৯ বছর পর এএফসিতে ইস্টবেঙ্গল। বুধবার যুবভারতীতে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগ টু-র প্লে অফ ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ তুর্কমেনিস্তানের আল্টিন আসির। আলটিন আসিরে নেই কোনও বিদেশি ফুটবলারও। তাও এই ক্লাব বেশ শক্তিশালী। প্লেয়ার আর ফুটবলার থেকে কোচ, সাপোর্ট স্টাফেও একই আছে । সেই গৌরব পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্য নিয়ে এ বার অভিযান শুরু করছে এই ক্লাবটি। অন্যদিকে নতুন দল নিয়ে মাস খানেক হল নতুন মরশুমের প্রস্তুতি শুরু করেছে ইস্টবেঙ্গল। ফলে এই ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের কাছে মোটেই সহজ হবে না।
এএফসি-র নতুন ক্লাব প্রতিযোগিতা এই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২, যেখানে ৩২টি দল অংশ নেবে। এই দলগুলোকে সমান ভাবে আটটি গ্রুপে ভাগ করা হবে এবং রাউন্ড-রবিন ফরম্যাটে খেলা হবে। এ মরশুমে যার গ্রুপ পর্ব শুরু হবে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ও চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আইএসএলের অপর দল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ২০২৩-২৪ মরসুমে লিগশিল্ড জেতার পর ইতিমধ্যেই গ্রুপ পর্বে তাদের জায়গা পাকা করে ফেলেছে। পশ্চিমাঞ্চল থেকে ১২টি ও পূর্বাঞ্চল থেকে ১৫টি, মোট ২৭টি দল সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করেছে এই লিগে। পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চল থেকে আরও দুটি ও পূর্বাঞ্চল থেকে একটি দল এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এলিটের প্রাথমিক পর্বে হেরে এখানে যোগ দেবে। বুধবার যুবভারতীতে প্রাথমিক পর্বের ম্যাচে যে দল জিতবে, সেই দল পূর্বাঞ্চল থেকে গ্রুপ পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। বাহরিনের আল আহলি এবং কুয়েত এসসি অপর জায়গাটির জন্য লড়ছে।
চলতি মরশুমে গতবারের চেয়ে ভাল দল গড়েছে ইস্টবেঙ্গল এফসি। দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকস-সহ একঝাঁক ভাল মানের বিদেশী ফুটবলারকে সই করিয়েছে তারা। আনা হয়েছে একাধিক প্রতিভাবান দেশীয় ফুটবলারকেও। ফলে চলতি ডুরান্ড কাপ ও কলকাতা লিগ, দুই আসরেই ভাল ফল করে চলেছে তারা। তবে সেই ধারাবাহিকতা এশীয় স্তরেও দেখানোর জায়গায় তারা আছে কি না, সেটাই বোঝা যাবে এই ম্যাচে।
মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা ন’বছর পর এশীয় স্তরের কোনও টুর্নামেন্টে খেলছি। তাই আমরা এই ম্যাচে ফেভারিট নই। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল সব সময়ই লড়াকু মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামে। কালও তার ব্যতিক্রম হবে না। কাল গ্যালারিতে আমাদের সমর্থকেরা থাকবে। ওরাও যেমন এই ম্যাচে আমাদের সমর্থন করার জন্য তৈরি, আমার ফুটবলাররাও তেমনই এই ম্যাচে নামার জন্য তৈরি”।
তুর্কমেনিস্তানের এই ক্লাবটি ২০০৮-এ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেখানকার জাতীয় লিগে আটবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে নজির গড়েছে তারা। এশীয় স্তরের টুর্নামেন্টে খেলার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা তাদের রয়েছে। গত পাঁচটি ম্যাচের চারটিতেই তারা জিতেছে এবং একটিতে ড্র করেছে। গত দু’টি ম্যাচের মধ্যে একটিতে তারা ৬-০-য় ও অন্যটিতে ৫-২-এ জেতে। আর একটি ম্যাচে ৪-১-এ জয় পায় তারা। শেষ পাঁচ ম্যাচে ১৮ গোল করেছে তারা। খেয়েছে মাত্র পাঁচটি। বোঝাই যাচ্ছে, কতটা আগ্রাসী ফুটবল খেলতে অভ্যস্ত তারা