
স্পোর্টস ডেস্ক :৯ ম্যাচ বাদে জয়ে ফিরলো ইস্টবেঙ্গল। এএফসি ভুটানের থিম্পুতে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের ম্যাচে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসকে৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল লাল হলুদ ব্রিগেড। চারটে গোলই প্রথমার্ধে। চলতি মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের সেরা ফলাফল । অস্কার ব্রুজোর কোচিংয়ে প্রথম জয়।সেটাও তার প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে।এই বসুন্ধরার কাছেই গত এএফসিতে গোলের মালা পরে নাস্তানাবুদ হয় মোহনবাগান। আর ইস্টবেঙ্গল জিতল বড়ো ব্যবধানে।
এ দিন কিক-অফের পরেই ৩০ সেকেন্ডে গোল পেয়ে যান গ্রিক ফরোয়ার্ড দিয়ামান্তাকস। কিক অফের পরেই বাঁ দিক দিয়ে উঠে বক্সের মধ্যে ক্রস বাড়ান লালচুঙনুঙ্গা। তাঁর ক্রস পৌঁছয় বক্সের প্রায় মাঝখানে দিয়ামান্তাকসের পায়ে। প্রায় ৪৫ ডিগ্রি ঘুরে গোলে বল গোলে ঠেলতে ভুল করেননি লাল-হলুদ বাহিনীর নির্ভরযোগ্য তারকা (১-০)।
এক গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর প্রতিপক্ষকে বেশ চাপে ফেলে দেয় ইস্টবেঙ্গল। ১৬ মিনিটের মাথায় ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পান নন্দকুমার শেকর। মাঝমাঠে দিয়ামান্তাকসের পাসে বল পেয়ে দ্রুত দৌড়ে বাঁ দিক দিয়ে প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। কিন্তু তাঁর শট সামনে থাকা গোলকিপারের হাতে চলে যায়। এর তিন মিনিট পরেই মহেশকে গোলের বল বাড়ান নন্দকুমার। কিন্তু বক্সের মাঝখান থেকে বারের ওপর দিয়ে বল উড়িয়ে দেন তিনি।
এই দু’টি সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হলেও কুড়ি মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত গোল করে দলকে আরও এগিয়ে দেন মিডফিল্ডার শৌভিক চক্রবর্তী। প্রতিপক্ষের একটি আক্রমণ হেড করে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন বসুন্ধরার অধিনায়ক তপু বর্মণ। কিন্তু তাঁর ক্লিয়ারেন্স গিয়ে পড়ে বক্সের বাইরে শৌভিকের পায়ে। ওখান থেকেই বাঁ পায়ে দূরপাল্লার জোরালো শটে তিনি বল জালে জড়িয়ে দেন (২-০)।
কুড়ি মিনিটের মধ্যে দু’গোলে এগিয়ে যাওয়া কলকাতার দল যে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে, তা তাদের খেলা দেখেই বোঝা যায়। বসুন্ধরার রক্ষণও এ দিন প্রতিপক্ষের আক্রমণের চাপ সামলাতে পারেনি। নিজেদের বক্সে তারা খেলোয়াড় সংখ্যা বাড়ালেও ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা আক্রমণ তৈরি ও গোল করার জন্য প্রচুর জায়গা ও সময় পেয়ে যান বারবার।
লাল-হলুদের তৃতীয় গোলের ক্ষেত্রেও তাদেরই দুর্বলতা প্রকট হয়ে ওঠে। মাদি তালালের কাছ থেকে বল পেয়ে বাঁ দিক দিয়ে বক্সে ঢোকেন নন্দকুমার। এক ডিফেন্ডারকে ধোঁকা দিয়ে কাট ইন করে কিছুটা ঢুকে এসে সোজা গোলে শট নেন তিনি, যা আটকাতে পারেননি অভিজ্ঞ গোলকিপার আনিসুর রহমান (৩-০)।
এর পরে গোলের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। ৩১ মিনিটের মাথায় মাদি তালালের গোলমুখী শট আটকান বসুন্ধরার গোলকিপার। ৩৩ মিনিটের মাথায় তালালের ক্রসে হেড করে বল গোলের দিকে ঠেলেন নন্দকুমার। তবে তা গোললাইন পেরোতে দেননি এক ডিফেন্ডার।
এরপর আনোয়ার গোল করেন। সেকেন্ড হাফে আর গোল হয়নি। যদিও দলের জয়ে খুশি নন ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুমোজ। তিনি বললেন,দলের এই জয়ে আমি অত্যন্ত খুশি। ম্য়াচের শেষে ফুটবলারদেরও সেকথা বলে এসেছি আমি। কিন্তু, দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে আমি একেবারে সন্তুষ্ট হতে পারিনি। আসলে ৯০ মিনিট আমরা টানা লড়াই চালিয়ে যেতে পারিনি। আর যতক্ষণ না আমার দলের ফুটবলাররা সেই পারফরম্য়ান্স করতে পারছে, ততদিন আমি সন্তুষ্ট হতে পারব না।’