
স্পোর্টস ডেস্ক :গতবার আইএসএল শুরুর আগে কোচ বলেছিলেন, সেরা ছয়ের মধ্যে থেকে নক আউটে পৌঁছনোই প্রথম লক্ষ্য। কিন্তু এ বার সরাসরি আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে তাঁর মুখে। বললেন, “জানি পরের মরশুম নিয়ে সমর্থকেরা প্রত্যেকেই খুব আগ্রহী। আমাদের দলে ভাল ভাল ফুটবলার এসেছে। তাই এ বার শুধু প্লে-অফে থেমে থাকতে চাই না। আইএসএল ট্রফি জিততে চাই। তবে আমাদের ধাপে ধাপে এগোতে হবে। প্রথমে ডুরান্ড কাপে ভাল খেলতে হবে। যে প্রতিযোগিতাতেই খেলি, জেতার চেষ্টা করতে হবে। দীর্ঘ দিন বাদে ভাল একটা দল হয়েছে আমাদের। গতবার ক্লাব ট্রফি জেতায় সমর্থকেরাও খুশি। আমরা আরও শক্তিশালী হতে চাই।”
দেশের ক্লাব টুর্নামেন্ট ছাড়াও এ বার এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এও খেলবে তারা, যার অভিযান শুরু হবে অগাস্টের ১৪ তারিখে টুর্নামেন্টের বাছাই পর্বের প্লে অফ ম্যাচ দিয়ে। সে দিন ঘরের মাঠে তারা নামবে তুর্কমেনিস্তানের এফসি আল্টিন আসিরের বিরুদ্ধে। এই টুর্নামেন্টের বাড়তি চ্যালেঞ্জ নিয়ে কুয়াদ্রাত বলেন, “এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আমরা ভারতের প্রতিনিধিত্ব করব। তাই এটা আমাদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ভারতীয় ফুটবলে আমি সাত বছর ধরে আছি। এই দলটা আমার হাতে পড়া অন্যতম সেরা দল। প্রত্যাশার চাপ থাকবে আমাদের ওপর। কিন্তু ফুটবলে এটা থাকেই। সেই চ্যালেঞ্জ নিতেই হবে”।
গত মরশুমে ডুরান্ড কাপের গ্রুপ লিগে ডার্বি জয়ের পর কলিঙ্গ সুপার কাপেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারায় তারা। কিন্তু ইন্ডিয়ান সুপার লিগে কোনও ডার্বি জিততে পারেনি তারা। ডুরান্ড ফাইনালে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কাছে হেরেই রানার্স আপ হয় তারা। আইএসএলে প্রথমে ২-২ ড্র করার পর ১-৩-এ হেরে যায় ইস্টবেঙ্গল। এ বারও ডুরান্ড কাপের গ্রুপ লিগে মরশুমের প্রথম ডার্বি হতে চলেছে।
ডার্বির প্রসঙ্গ উঠলে কুয়াদ্রাত বলেন, “ডার্বির দিন যারা একে অপরের চেয়ে ভাল খেলে, তারাই জেতে। সে যে যেমনই দল তৈরি করুক বা প্রস্তুতি নিক না কেন। আমরা মোহনবাগানকে শ্রদ্ধা করি। আসলে, একটা বড় ক্লাব আর একটা বড় ক্লাবকে উন্নতি করতে সাহায্য করে। রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনাও একে অপরকে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে। টানা আট ম্যাচে হারের পর গত মরশুমে দু’বার মোহনবাগানকে হারিয়েছি। এ বারও সেই ধারা বজায় রাখতে চাই”।
দীর্ঘ মরশুমে, চোট-আঘাত, কার্ড-সমস্যা, ক্লান্তি- এ সব থাকবেই। তা খুব ভাল করেই জানেন কোচ। এই সব কারণে গত মরশুমে অনেক ভুগতেও হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। তাই যারা নিয়মিত মাঠে নামবে, শুধু সেই দলই নয়, রিজার্ভ বেঞ্চকেও সমান শক্তিশালী করে তোলার চেষ্টায় রয়েছেন কুয়াদ্রাত। এ বার রিজার্ভ বেঞ্চ তাঁর কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা জানতে চাইলে স্প্যানিশ কোচ বলেন, “দলবদলের সময়সীমা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। আমরা আরও কিছু খেলোয়াড়ের সঙ্গে যোগাযোগে আছি। চোট-আঘাত, সাসপেনশন এগুলো ফুটবলের অঙ্গ। এগুলো ফুটবলে হয়েই থাকে। এ সব যে হবে, জানি। গতবারের চেয়ে এ বারের দল আরও ভাল হয়েছে। এখন দলকে আরও শক্তিশালী করে তোলার প্রক্রিয়া চলছে”।