
স্পোর্টস ডেস্ক :—–সুপার কাপের ডার্বির রঙ লাল হলুদই।ক্লেটন সিলভার ম্যাজিকের জোড়া গোল আর নন্দকুমারের ১ গোলে কলিঙ্গ ডার্বিতে মোহনবাগানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সুপার কাপের সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল।ম্যাচের শুরুতেই ২ মিনিটেই ইস্টবেঙ্গলের জালে বল ঢুকিয়ে দেন মোহনবাগানের আর্মান্দো সাদিকু। কিন্তু অফসাইড দেয় রেফারি। ৫ মিনিটেইস্টবেঙ্গলের বক্সের মধ্যে ক্রস হুগো বৌমাসের। পেনাল্টি এলাকার কাছে ক্রস। তবে সহজে ক্লিয়ার করে দিলেন হিজাজি মাহের।১৯ মিনিটেপরপর কয়েকটি কর্নার পায় মোহনবাগান। শেষটা নেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। সেই কর্নারে একেবারে সামান্য ফ্লি করেন হেক্টর ইউস্তে।আর গোল করে যান গোল খেয়ে গোল পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে ইস্টবেঙ্গল।২০ মিনিটে মোহনবাগান বক্সের মধ্যে ঢুকে যায় ইস্টবেঙ্গল। ডানদিকে বক্সের মাথায় পড়ে গিয়েও বল বাড়িয়ে দেন সৌভিক চক্রবর্তী। শট বোরহার। বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে। নন্দকুমার গোল করতে পারেননি।২৫ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল কর্ণার পায় আর দূরপাল্লার শটে অসাধারণ গোল করে যান ক্লেটন সিলভা।২৯ মিনিটে মোহনবাগান বক্সের মধ্যে পড়ে গেলেন নন্দকুমার।রেফারি পেনাল্টি দেননি বলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে লাল হলুদ ব্রিগেড।৩৮ মিনিটে হুগো বৌমাসকে ফাউল ক্রেসপোর। হলুদ কার্ড দেখলেন তিনি। তার আগে ইস্টবেঙ্গল কর্নার পায়। সেটা থেকে ফের মোহনবাগানের উপর চাপ তৈরির সুযোগ পায়। তবে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন সিভেরিও। তার জেরে চাপমুক্ত হয়ে যায় মোহনবাগান ডিফেন্স।ম্যাচের প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ের ৪৮ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের বক্সে কিয়ানের শট হিজাজির হাতে লাগায় পেনাল্টি পেয়ে যায় মোহনবাগান। তবে লাভের লাভ হয়নি।একপ্রকার নাটক তৈরী হয়।যখন পেনাল্টি নেন পেত্রাতোস, তখন প্রভসুখন গিলের ডানদিক দিয়ে বলটা জড়িয়ে দেন। শটটা এতটাই জোরে ছিল যে গিলের হাত লাগলেও জালে জড়িয়ে যায়। কিন্তু গোল হয়নি। পেত্রাতোসকে ফের পেনাল্টি নিতে হয়। কারণ তিনি শট নেওয়ার আগেই পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়েন কয়েকজন। লাইফলাইন পায় ইস্টবেঙ্গল। আর চাপের মুখে দ্বিতীয়বার জোরে শট মারেন অস্ট্রেলিয়ান। ডানদিকের টপ-কর্নার লক্ষ্য করেন। তিনি বারপোস্টে প্রতিহত হয়ে যায় শট। ফিরতি বলে আর্মান্দো সাদিকু শট নেওয়ার চেষ্টা করেন। লাভ হয়নি। বলটা বেরিয়ে যায়। সেইসঙ্গে প্রথমার্ধ শেষ ১-১ ব্যবধানেই
দ্বিতীয়ার্ধ ৬২ মিনিটে মোহনবাগানের রবি রানার সঙ্গে বল দখলে জেতেন বোরহা। তাঁর শট পোস্টে লাগে। ফিরতি বলে গোল যায়। ফিরতি শট থেকে গোল করেন ডার্বির নায়ক নন্দকুমার।৭১ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে আক্রমণ কিয়ান নাসিরির। ডানপ্রাপ্ত থেকে বক্সের মধ্যে ক্রস দেওয়ার চেষ্টা তাঁর। কিন্তু বল ক্লিয়ার করে দিন ইস্টবেঙ্গল।৭৮ মিনিটে- সাদিকু, হ্যামিলকে তুলে সুহেল ভাট ও সুমিত রাঠিকে নামাল মোহনবাগান। অন্য দিকে, সিভেরিওর পরিবর্তে বিষ্ণুকে নামাল ইস্টবেঙ্গল।ম্যাচের ৮০ মিনিটে ফের গোল ক্যাপ্টেন ক্লেটন সিলভার। হিজাজির হেড মোহনবাগান গোলরক্ষক আর্শ আনোয়ার সেভ করতে ব্যর্থ। তাঁর হাত ফসকে যায়। বল পেয়েই গোলে পরিণত করেন ক্লেটন সিলভা। আর ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি মোহনবাগান। জিতেই সুপার কাপের সেমফাইনালে ইস্টবেঙ্গল। অপরদিকে মোহনবাগানের খারাপ ফর্ম বজায় রইল।