
স্পোর্টস ডেস্ক : সেমিফাইনালে ওঠার জন্য প্রয়োজন ছিল একটি ড্র। কিন্তু চিরপ্রতিদ্বন্দীদের হারিয়েই যে কলিঙ্গ সুপার কাপের শেষ চাপে পৌঁছতে চান তাঁরা, তা আগের দিনই বলে দিয়েছিলেন কোচ। কথা রাখল ইস্টবেঙ্গল। শুক্রবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে ৩-১-এ হারিয়ে জামশেদপুর এফসি-র মুখোমুখি হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল । জোড়া গোল করে এ দিন ফের জয়ের নায়ক হয়ে উঠলেন ইস্টবেঙ্গলের ব্রাজিলিয়ান তারকা ক্লেটন সিলভা।
ডুরান্ড কাপে মরশুমের প্রথম কলকাতা ডার্বিতে জেতার পরে সেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে মোহনবাগানের কাছে হেরে গিয়েছিল লাল-হলুদ বাহিনী। ইস্টবেঙ্গলকে খারাপ জায়গা থেকে তোলার সওদাগর লাল হলুদ হেডস্যার কার্লস কুয়াদ্রাত। এই কুয়াদ্রাতই ডুরান্ড কাপে ৮ টি ডার্বি হারের পরে জেতায় ইস্টবেঙ্গলকে।এদিন কুয়াদ্রাত জানালেন,ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ শুরুতেই বলেন, ‘অবশ্যই খুশি। প্লেয়ার, ক্লাবের জন্য তো অবশ্যই তবে সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বাস হচ্ছে সমর্থকদের জন্য। কিছুদিন আগে অবধিও মোহনবাগানের কাছে টানা হারছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই ধারা বদলেছে। সে কারণেই সমর্থকদের জন্য বেশি আনন্দ হচ্ছে। তবে এই ম্যাচের আনন্দে ভুলে গেলে চলবে না, আমরা সেমিফাইনালে উঠেছি। পরবর্তী ম্যাচেই নজর। অবশ্যই মূল ফোকাস সুপার কাপ জেতায়।’
এছাড়া লাল হলুদের স্প্যানিশ কোচ বললেন , ‘অবশ্যই ডুরান্ড ডার্বিতে জেতাটা বেশি আনন্দের ছিল। ওখানে দুই কিংয়ের মধ্যে লড়াই ছিল। আসলে তেমনটাই বলা হচ্ছিল তখন। সেই ডার্বিটাই বেশি আনন্দের। ওর পরিকল্পনা দুর্দান্ত। প্রতিটা ডার্বিরই আলাদা পরিস্থিতি থাকে। প্রথম ডার্বিতে আমার অবস্থা ছিল অনেকটা মর্গ্যানের মতো। সবসময়ই শুনতে হত, ডার্বি জিততে হবে। মর্গ্যানও প্রথম ডার্বি জিতেছিল। বলতে পারি আমার ক্ষেত্রেও তেমনই হয়েছে।আমরা এখনও অনেক দূরে আছি। দুটো ৯০ মিনিট পার করতে হবে। এই মুহূর্তে ট্রফির গন্ধ পাওয়ার মতো জায়গায় আমরা যাইনি। আপাতত একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার প্রস্তুতি শুরু হবে।”