
স্পোর্টস ডেস্ক : কম করে ৫ গোলে জেতা ম্যাচ। একের পরে এক গোলের সুযোগ হাতছাড়া। তবুও শনিবার নৈহাটিতে প্রতিবেশী ক্লাব এরিয়ানকে ২-০ গোলে হারালো ইস্টবেঙ্গল। এই হারের ফলে কলকাতা লিগে সুপার সিক্সে যাওয়ার স্বপ্ন থমকে গেলো এরিয়ানের। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণনির্ভর ফুটবল খেলে লাল হলুদ ব্রিগেড। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোলের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে ইস্টবেঙ্গল। পিভি বিষ্ণুর শট প্রতিহত করেন এরিয়ান গোলকিপার আকাশ। কর্নার থেকেও গোল করার সুযোগ এসেছিল লাল-হলুদ শিবিরের সামনে। তবে অতুলের হেডে বল চলে যায় এরিয়ান কিপারের হাতে।৭ মিনিটের মাথায় অচিন্ত্য ইস্টবেঙ্গল গোলকিপারকে একা পেয়েও জালে বল জড়াতে পারেননি। আদিত্য গোল ছেড়ে বেরিয়ে এসে গোলমুখ ছোট করে দেন। ফলে প্রতিহত হয় এরিয়ানের আক্রমণ। ১৪ মিনিটের মাথায় কার্যত ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে পারেননি না সঞ্জীব। এরপর ৩৬ মিনিটের মাথায় এরিয়ান কিপার আকাশ গোল ছেড়ে বেরিয়ে এসে ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ প্রতিহত করেন। ৪৩ মিনিটের মাথায় কর্নার পেয়েও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ এরিয়ান। ৪৪ মিনিটের মাথায় ফের ইস্টবেঙ্গলের বক্সে আক্রমণে ওঠে এরিয়ান। তবে শট নেওয়ার আগেই বল ধরে নেন আদিত্য। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত ৪ মিনিট দেন রেফারি। আর সেখানেই বাজিমাত করে ইস্টবেঙ্গল। ৪৭ মিনিটে জেসিন দূরপাল্লার শটে অসাধারণ গোল করেন। তার পরেই আবার গোল করলেন অমন ।প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার পরে হাফ টাইমের পরে ফের আক্রমণ শুরু করে লাল হলুদ ব্রিগেড। আর ম্যাচের ৫৪ মিনিটের মাথায় এরিয়ান গোলরক্ষককে একা পেয়েও জালে বল জড়াতে পারলেন না বিষ্ণু। ৫৬ মিনিটে আবার বিষ্ণুর আরও একটি শট ক্রসবারের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়। ৬৭ মিনিটে গোলদাতা অমনকে তুলে সুমনকে নামান ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ । আর মোহিতোষকে নামান গুনরাজের বদলে। ৭৫ মিনিটের সঞ্জীবের দূরপাল্লার শট বল চলে যায়।৮০ মিনিটে এরিয়ান একটা সুযোগ পান কিন্তু সেটা মিস করলেন। ৮৯ মিনিটে মহিতোষ এরিয়ান গোলকিপারকে বক্সে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি। ম্যাচে অতিরিক্ত ৬ মিনিট সময় দেওয়া। তবে আর গোল হয়নি। জিতেই মাঠ ছাড়লো ইস্টবেঙ্গল।