
স্পোর্টস ডেস্ক :–চাপের দাবানলের মধ্যে এই সময়ে রয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। কারণ গত ৮ টি ডার্বিতে দল হেরেছে। শেষবার ইস্টবেঙ্গল ডার্বি জেতে ২০১৯ সালে এবার কী পারবেন ভাগ্যের চাকা বদলাতে!গতবছরের মাত্র দু’জন রয়েছে এই দলে। নাওরেম মহেশ এবং লালচুংনুঙ্গা। ডুরান্ডে বাংলাদেশ আর্মির বিরুদ্ধে দু’গোলে এগিয়ে থেকেও ড্র হয় ম্যাচ। আর সেই দলকেই মোহনবাগান ৫ গোল দেয়। খাতায় কলমে ফেভারিট মোহনবাগান। কিন্তু নিজেদের আন্ডারডগ ভাবছেন না লাল হলুদ কোচ। এদিন ম্যাচের আগে যুবভারতীতে সাংবাদিক সম্মেলনে কুয়াদ্রাত বলেন, ‘ডার্বি অবশ্যই আমার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। আমি পুরো দল পাব না। দেখতে গেলে এটা আমাদের তৃতীয় প্রাক মরশুম ম্যাচ। গত মরশুমের মাত্র দু’জন প্লেয়ার নাওরেম এবং নুঙ্গা এই দলে আছে। তাই প্রত্যেক ম্যাচই আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে চাই। এটা আমাদের ট্যাকটিক্স পরীক্ষা করার মঞ্চ। সব ফুটবলার ৯০ মিনিট খেলার মতো অবস্থায় নেই। তারমধ্যে সেরা এগারোকে নামতে হবে। জানি মোহনবাগান শক্তিশালী দল। ওরা এএফসি কাপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে আমাদের দলেও মন্দারের মতো ফুটবলার আছে।’ বাড়তি চাপ কি অনুভব করছেন! কুয়াদ্রাত জানালেন, চাপ তো এল ক্লাসিকোতেও আছে। অতীতেও আমি চাপ সামলেছি । তবে কলকাতা ডার্বি স্পেশাল ম্যাচ। নিজেদের আন্ডারডগ বলব না। তবে জানি বিপক্ষ শক্তিশালী। শেষ আট ডার্বি জেতায় মানসিকভাবে ওরা ভাল জায়গায় থাকবে। আমরা প্রস্তুতির যথাযথ সময় পাইনি। দল গড়তে, প্লেয়ার পেতে সময় লেগেছে। এটা আমাদের হাতে ছিল না। তবে অজুহাত না দিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।’ তবে দলের ফিটনেস নিয়ে চিন্তিত কুয়াদ্রাত। তার কথায়,অন্তত ৬জন ফুটবলারকে নব্বই মিনিট মাঠে থাকতে হবে। তবে পাশাপাশি এও জানিয়ে দিলেন, কোনওভাবেই পয়েন্ট নষ্ট করে মাঠ ছাড়া যাবে না।
আমাদের ম্যাচ জিততে হবে। আমরা ২ পয়েন্টও হারাতে পারব না। এটা প্লেয়ারদের বলে দিয়েছি। আমরা সাপোর্টারদের রেজাল্ট দিতে চাই। আমাদের ধারাবাহিক হতে হবে। বেঙ্গালুরুতে আমি যা করেছিলাম। বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা ডুরান্ড কাপ জিততে চাই। মোহনবাগানের মতো বড় দলের বিরুদ্ধে জেতা আমাদের লক্ষ্য। আমাদের তিন পয়েন্ট চাই।’