
স্পোর্টস ডেস্ক : মধ্যরাতে কলকাতা পৌঁছে গেলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রধান কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত। তাঁর সঙ্গে এলেন সহকারি কোচ দেলগাড়ো ও স্পোর্টস সাইন্টিস্ট আলবার্তো মার্টিনেজ। কোচ কুয়াদ্রাতকে স্বাগত জানাতে কলকাতা বিমানবন্দরে হাজির ছিল বহু ইস্টবেঙ্গল জনতা। তারা কুয়াদ্রাতকে জয় ইস্টবেঙ্গল স্লোগান দিয়ে স্বাগত জানালেন। আগামীকাল থেকেই এই আইএসএল জয়ী কোচ ডুরান্ড কাপের অনুশীলন শুরু করে দেবেন। গত কয়েক বছরে ইস্টবেঙ্গলের শুধুই ব্যর্থতা। কুয়াদ্রাতের কাছ থেকে সাফল্যর স্বপ্ন দেখছে লাল হলুদ সমর্থকেরা।ভারতে কোচিং করানোর যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে ৫৪ বছর বয়সী কুয়াদ্রাতের। ২০১৬ থেকে ২০১৮—ভারতে তাঁর প্রথম পর্বে কুয়াদ্রাত বেঙ্গালুরু এফসি-র সহকারী কোচের পদে ছিলেন ও তাদের ফেডারেশন কাপ, প্রথম সুপার কাপ জিততে সাহায্য করেন। সেই সময়ে বেঙ্গালুরু এফসি প্রথম ভারতীয় দল হিসেবে এএফসি কাপের ফাইনালে উঠেছিল।
এর পরে, ২০১৮-য় প্রধান কোচ হিসেবে বেঙ্গালুরু এফসি-র দায়িত্ব নেন তিনি। প্রথম মরশুমেই (২০১৮-১৯) দলকে প্রথম আইএসএল চ্যাম্পিয়ন করেন কুয়াদ্রাত। তাঁরই প্রশিক্ষণে বেঙ্গালুরু একই মরশুমে লিগসেরা ও ট্রফিজয়ী দুইই হয়। পরের বছর তাঁর প্রশিক্ষণে থাকা বেঙ্গালুরুর দল ফের প্লে-অফে ওঠে। অর্থাৎ, তিনি ভারতে কোচিং করতে এসে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাফল্যই পেয়েছেন। শুধু সাফল্য নয়, বহু নজিরও গড়েছে তাঁর দল। ভারতে সাফল্য পাওয়ার পর তিনি সাইপ্রাস ও ডেনমার্কের দুই ক্লাবে সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করেন।ফুটবলজীবনে ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৮ ডিফেন্ডার হিসেবে এফসি বার্সেলোনার সবকটি যুব দলের হয়ে খেলেছেন কুয়াদ্রাত। ১৯৮৬ ও ১৯৮৭-তে বার্সেলোনা এফসি-র যে অনূর্ধ্ব ১৯ দল স্প্যাানিশ কাপ জেতে, সেই দলেরও সদস্য ছিলেন তিনি। বার্সেলোনার প্রথম দলের জার্সি গায়ে ফ্রেন্ডলি ম্যাচে খেলেছেন যেমন, তেমন স্পেনের অনূর্ধ্ব ১৬ দলের হয়ে ১৯৮৫-র উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপেও দলকে তৃতীয় স্থানে থাকতে সাহায্য করেছিলেন। ফুটবলজীবনের চেয়ে অবশ্য কোচিংয়েই বেশি সফল হয়েছেন তিনি। বিশেষ করে ভারতে আসার পর। ভারতে দ্বিতীয় পর্বে এসে তিনি কতটা সফল হতে পারেন, এবার সেটাই দেখার।