
স্পোর্টস ডেস্ক: টানা ৮ টি ডার্বিতে হারের পর ছন্দ হাসি ফিরল ইস্টবেঙ্গলে। ওড়িশার নন্দকুমারই ফেরালেন ছন্দ। তার বিশ্বমানের গোলেই ডার্বির রঙ লাল হলুদ। ১-০ গোলে মোহনবাগানের অহংকার উড়িয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল। এদিন শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গল আক্রমণে যায় ।ম্যাচের ১১ মিনিটে খাবরা একটি লম্বা কিকের মাধ্যমে বক্সের মধ্যে বল পাঠান। এলসে সেই বল হেডে জালে জড়াতে গেলে বিশাল কাইথ সেই বল সহজেই ধরে ফেলেন।১৫ মিনিটে অনিরুদ্ধে থাপা ফাউল করলে ইস্টবেঙ্গল ফ্রি-কিক পায়। এবারও এলসে সেট-পিস থেকে বল পেয়ে গোলের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁর হেডার বাঁচান বিশাল কাইথ।
১৮ মিনিটে নওরেম মহেশ প্রতিপক্ষের বক্সে বাগান ডিফেন্ডারকে ডজ দিয়ে সিভেরিও-কে ক্রস বাড়ান। সেই বল ধরে সিভেরিও গোলের চেষ্টাও করেন। কিন্তু ব্রেন্ডন সেই বল বিপদ মুক্ত করেন। ভালো গোলের সুযোগ নষ্ট হয় লাল-হলুদের।২৩ মিনিটে বাঁ দিক থেকে মহেশ পাস বাড়িয়েলেন সিভেরিওকে। চেষ্টা করেও গোল হল না। প্রথমার্ধের শেষ সময়ে লিস্টন কোলাসোকে ফাউল করেন খাবরা। খাবরা নিজে হলুদকার্ড দেখেন, আর ফ্রি-কিক পায় মোহনবাগান। বৌমাস ফ্রি-কিক নেন। দুরন্ত শট ছিল। তবে প্রভসুখন গিল সেভ করে নেন । প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশুন্য ব্যবধানে। দ্বিতীয়াধে ৫১ মিনিটে মনবীর সিংকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখলেন শৌভিক চক্রবর্তী।৫৭ মিনিটে সাদিকু ও হুগো বৌমাসের পরিবর্তে জেসন কামিন্স ও দিমিত্রি পেত্রাতোসকে নামায় মোহনবাগান। সবুজ-মেরুন জার্সিতে ডার্বি ম্যাচে অভিষেক হল অজি বিশ্বকাপার কামিন্সের। তবে এরপরেই বিপত্তি ৬০ মিনিটে – প্রতি আক্রমণে উঠে দুরন্ত গোল করে লাল-হলুদের নন্দকুমার। ডান ফ্ল্যাঙ্ক বরাবর নন্দকুমার দৌড় শুরু করেন। অনিরুদ্ধ থাপা তাঁকে আটকাতে এলে তাঁকে ডজ দিয়ে বাঁ-পায়ে শট নেন নন্দ। সেকেন্ড পোস্টে রাখেন বল। বিশাল কাইথের কিছুই করার ছিল না। একক দক্ষতার অসাধারণ গোল নন্দকুমারের।৬৯ মিনিটে কামিন্স নিশ্চিত গোলের সুযোগ মিস করেন।তবে৭৫ মিনিটে পেয়ে লাল হলুদের সিভেরিও চোট পেয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে যান।তবে শেষমুহূর্তে আক্রমণের একের পর এক আক্রমণ করে মোহনবাগান। তবে গোল আসেনি। অতিরিক্ত ৬ মিনিট সময় দেওয়া হয়। এরপরেই আসে বৃষ্টি। তবে সেটা ইস্টবেঙ্গলের জয়ে বাঁধা হয়নি।